যথাযথ সংরক্ষণ ও দেখ-ভালের অভাবে অকেজো হয়ে পড়েছে খুলনার বেশিরভাগ স্লুইস গেট
- আপডেট সময় : ০১:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫১২ বার পড়া হয়েছে
যথাযথ সংরক্ষণ ও দেখ-ভালের অভাবে অকেজো হয়ে পড়েছে খুলনার বেশিরভাগ স্লুইস গেট। ফলে, গ্রামীণ কৃষি ব্যবস্থাপনায় দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা।বরাদ্দ না থাকায় সংস্কার করা যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ণ বোর্ড।দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
ভৌগোলিক কারনেই উপকূলীয় জেলা খুলনার ৯টি উপজেলায় ১৫টি পোল্ডার রয়েছে। এসব পোল্ডারে পানি ব্যবস্থাপনার জন্য স্লুইস গেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জেলায় খাল ও নদীর পানি ব্যবস্থাপনার জন্য গত ৬০ বছর ধরে পাঁচ শতাধিক ছোট-বড় স্লুইসগেট নির্মান করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কিন্তু, নির্মানের পর নিয়মিত সংস্কার ও সংরক্ষনের অভাবে অকেজো হয়ে পড়েছে প্রায় তিন শতাধিক স্লুইস গেট।ফলে, কৃষির জন্য মিষ্টি পানি সংরক্ষণ ও পোল্ডারের মধ্যে লবণ পানি প্রবেশ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এখন, শুষ্ক মৌসুমে সেচের পানির অভাব আর বৃষ্টিতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
কৃষি অধিদপ্তর বলছে, স্লুইস গেটগুলো ব্যবহার অনুপোযোগী হওয়ায়– খুলনার ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা, দিঘলিয়া ও দাকোপ উপজেলায় গ্রামীন কৃষি ব্যবস্থাপনায় সৃষ্টি হচ্ছে নানা সমস্যা। পানি উন্নয়ন বোর্ডর উদাসীনতায় প্রতিবছর কৃষিতে সংকট বাড়ছে বলে মনে করেন, তারা। পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় কিছু করা যাচ্ছেনা। বড় ধরনের প্রকল্প এলে এর সমাধান হবে বলে জানান, এই কর্মকর্তা। এ বছর খুলনার পাঁচ উপজেলার প্রায় ২০ শতাংশ জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। দ্রুত স্লুইস গেট মেরামতের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।