০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

মিয়ানমারে জন্মগ্রহণ ও আদীনীবাস হলেও সেখানে কখনোই নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারেননি রোহিঙ্গারা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৫০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মিয়ানমারে জন্মগ্রহণ ও আদীনীবাস হলেও সেখানে কখনোই নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারেননি রোহিঙ্গারা। সবশেষে ২০১৭ সালে সে দেশের সেনাবাহিনীর নৃশংসতার হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে শরণার্থী জীবন কাটাচ্ছেন । এমন বঞ্চিত ও অনিশ্চিত জীবন যাপনে অনেকের মধ্যেই দেখা দিয়েছে অপরাধ প্রবণতা। হতাশ এই মানুষগুলোকে ভাসানচরে স্থানান্তরের মাধ্যমে কিছুটা স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব বলে মনে করেন-বিশেষজ্ঞরা।

জন্মগতভাবে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের বাসিন্দা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের এসব মানুষ মুসলিম। মিয়ানমার সরকারের কাছে এখন এটাই তাদের বড় অপরাধ। তাই নাগরিক হিসেবে সে দেশের সরকার ইদানীং তাদের স্বীকার করতে চাইছে না। বাপ-দাদা ভোটার থাকলেও গত প্রায় সাড়ে চার দশক ধরে রোহিঙ্গা জনগোষ্টিকে বাস্তুচ্যুত করতে তৎপর সেদেশের সেনাবাহিনী। তাদের অত্যাচারে দফায় দফায় সপরিবারে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গারা। কক্সবাজার ও টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প বানিয়ে শরণার্থী হিসেবে তাদের আশ্রয়ও দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু বছরের পর বছর বঞ্চিত, অনিশ্চিত জীবন কাটাতে কাটাতে হতাশ হয়ে পড়া এই মানুষদের অনেকে জড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে।

শুরু থেকেই হতভাগা এই মানুষগুলোকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক মহল। কিন্তু নানা বাহানায় তা বাস্তবায়নে গড়িমসি করছে মিয়ানমার। এই বাস্তবতায় ভাসানচরের পরিকল্পিত নগরীতে স্থানান্তরের মাধ্যমে হতাশাগ্রস্ত মানুষগুলোর সামনে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে সরকার।

কিন্তু রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া সহজ ছিল না মোটেই। শুরু থেকেই যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতাসহ নানা অজুহাতে এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন। যার জবাব দিলেন নৌবাহিনীর এই কর্মকর্তা।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনা অভ্যুত্থানের ফলে মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ফের অস্থির হয়ে ওঠায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আরো দীর্ঘায়িত হওয়ার আশংকায় পড়েছে। তাই স্থানান্তরের পাশাপাশি দ্রুত কর্মসংস্থানেরও আওতায় আনতে হবে রোহিঙ্গাদের।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মিয়ানমারে জন্মগ্রহণ ও আদীনীবাস হলেও সেখানে কখনোই নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারেননি রোহিঙ্গারা

আপডেট সময় : ০১:৫০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মিয়ানমারে জন্মগ্রহণ ও আদীনীবাস হলেও সেখানে কখনোই নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারেননি রোহিঙ্গারা। সবশেষে ২০১৭ সালে সে দেশের সেনাবাহিনীর নৃশংসতার হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে শরণার্থী জীবন কাটাচ্ছেন । এমন বঞ্চিত ও অনিশ্চিত জীবন যাপনে অনেকের মধ্যেই দেখা দিয়েছে অপরাধ প্রবণতা। হতাশ এই মানুষগুলোকে ভাসানচরে স্থানান্তরের মাধ্যমে কিছুটা স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব বলে মনে করেন-বিশেষজ্ঞরা।

জন্মগতভাবে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের বাসিন্দা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের এসব মানুষ মুসলিম। মিয়ানমার সরকারের কাছে এখন এটাই তাদের বড় অপরাধ। তাই নাগরিক হিসেবে সে দেশের সরকার ইদানীং তাদের স্বীকার করতে চাইছে না। বাপ-দাদা ভোটার থাকলেও গত প্রায় সাড়ে চার দশক ধরে রোহিঙ্গা জনগোষ্টিকে বাস্তুচ্যুত করতে তৎপর সেদেশের সেনাবাহিনী। তাদের অত্যাচারে দফায় দফায় সপরিবারে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গারা। কক্সবাজার ও টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প বানিয়ে শরণার্থী হিসেবে তাদের আশ্রয়ও দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু বছরের পর বছর বঞ্চিত, অনিশ্চিত জীবন কাটাতে কাটাতে হতাশ হয়ে পড়া এই মানুষদের অনেকে জড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে।

শুরু থেকেই হতভাগা এই মানুষগুলোকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক মহল। কিন্তু নানা বাহানায় তা বাস্তবায়নে গড়িমসি করছে মিয়ানমার। এই বাস্তবতায় ভাসানচরের পরিকল্পিত নগরীতে স্থানান্তরের মাধ্যমে হতাশাগ্রস্ত মানুষগুলোর সামনে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে সরকার।

কিন্তু রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া সহজ ছিল না মোটেই। শুরু থেকেই যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতাসহ নানা অজুহাতে এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন। যার জবাব দিলেন নৌবাহিনীর এই কর্মকর্তা।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনা অভ্যুত্থানের ফলে মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ফের অস্থির হয়ে ওঠায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আরো দীর্ঘায়িত হওয়ার আশংকায় পড়েছে। তাই স্থানান্তরের পাশাপাশি দ্রুত কর্মসংস্থানেরও আওতায় আনতে হবে রোহিঙ্গাদের।