মানবেতর জীবনযাপন করছেন ইরাকের প্রায় ২০ হাজার অভিবাসী কর্মী
- আপডেট সময় : ০২:০৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
কাজ হারিয়ে দেশে ফিরতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ইরাকের প্রায় ২০ হাজার অভিবাসী কর্মী। একই সাথে নয় হাজার কর্মীকে চার্টার্ড ফ্লাইটে কোম্পানী পাঠাতে চাইলেও দূতাবাস থেকে চাহিদা মতো ফ্লাইট শিডিউল মিলছে না। কর্মীরা জানিয়েছেন, একদিকে আয় নেই অন্যদিকে দুর্বিষহ জীবন-তাই সরকারী সহায়তার দাবী তাদের। অন্যদিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ জানিয়েছেন এ ব্যাপারে চেষ্টা চলছে।
গত ১ এপ্রিল থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে বিশ্বের ২৬টি দেশ থেকে ৯৫ হাজার ৬২ জন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। এই ফেরার তালিকায় ইরাকের নামও যুক্ত হয়েছে, যদিও যুদ্ধকালীন সময়ের আগে ও পরে বাংলাদেশীরা বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন ইরাকের অর্থনীতিতে।
বেসরকারি সংস্থার হিসেবে, প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশি কর্মী এখনো দেশটিতে থাকলেও ইরাকের শ্রমবাজারে থাবা বসিয়েছে করোনা। দেশটি নামকরা বড় প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভালো থাকা কর্মীরাও এখন বেকার। এতে হানুয়া, হুন্দাই-এর মতো বড়ো কয়েকটি কোম্পানী কর্মীদের চার্টার্ড ফ্লাইটে তাদের দেশে পাঠাতে চাইলেও দূতাবাস থেকে অনুমতি না মেলায় কর্মীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
জনশক্তি বিশ্লেষক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের মতে বাংলাদেশী দুতাবাসেরই বড় ভুমিকা এই সংকটে। শ্রমিকরা ফিরতে চাইলেও কেন অনুমতি দেয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন ছিল ইরাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে।
প্রবাসীদের এমন সংকট জানার পর এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। আশ্বাস দেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের। এদিকে, বিদেশি এয়ারলাইন্স বানিজ্যিক ফ্লাইট চালালেও, ওয়ানওয়ে ভাড়া নয়শ’ থেকে এক হাজার ডলার। তাই ভাড়া কমিয়ে ফ্লাইট বাড়ানোর দাবি ইরাক প্রবাসীদের।