ভেজাল কারখানায় তৈরি হয় ক্যান্সার, শ্বাসকষ্টসহ জটিল রোগের নকল ওষুধ
- আপডেট সময় : ০২:০৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
রীতিমতো কারখানা বানিয়ে ভেজাল ওষুধ তৈরি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন কিছু কারখানার খোঁজ মিলেছে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে। ভুয়া লাইসেন্সে ক্যান্সার, শ্বাসকষ্টসহ অনেক জটিল রোগের নকল ওষুধ বানানো হতো কারাখানা গুলোতে। নিজস্ব প্রতিনিধিদের মাধ্যমে যা সরবরাহ করা হতো হাসপাতাল ও ফার্মেসিতে। এসব কর্মকান্ড গণহত্যার শামিল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এটি পিরোজপুরের একটি ওষধ কারখানা । যেখানে ভুয়া লাইসেন্স দিয়ে বানানো হচ্ছিলো কোভিড ১৯, ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ভেজাল ওষুধ । বানানো হচ্ছিলো সেকলো, মোনাস, মন্টিয়ার, সেফ–৩, নেপ্রোক্সেন প্লাসের মতো বহুল ব্যবহৃত ওষুধও। নকল হলেও অনেকটাই নিখুঁতভাবে কাজটি করে আসছিলো চক্রটি। যা সহজে বোঝা যায় না।
ভোলা,বরিশাল ,ডেমরা,কুমিল্লা,সাভারসহ বেশিকিছু এলাকায় অভিযান চালিয়ে এমন তিনটি ভূয়া ঔষুধ কারখানার সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ জোন।কেমিষ্টের কাছ থেকে বাজারে প্রচলিত ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ওষুধের ফর্মুলা সংগ্রহ করতো তারা। এরপর কেমিকেল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কাঁচামাল নিয়ে এই কারখানায় বানানো হতো নকল ওষুধ ।গেলো দু’মাসে এমন চক্রের ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
ভোক্তদের বিশ্বাস অর্জনে ব্যবহার করা হতো নামিদামি ব্র্যান্ডের মোড়ক । ওষুধের কথিত কেমিকেল, মোড়ক বানানোরও আলাদা লোক আছে তাদের । ঔষুধের প্রকৃত মূল্যের চেয়ে কত দামে, বিক্রি করায়, অনেকেই লুফে নিতো এমন নকল ঔষুধ।সিংক:রাজিব আল মাসুদ,উপ-পুলিশ কমিশনার,ডিবি, লালবাগ
অনেকগুলো চক্র জড়িত থাকায়, এ বিষয়ে আরো মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এমন কাজ গণহত্যার শামিল।দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায়,এমন কাজ বন্ধ হচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি।