০৭:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

ভুয়া পাসপোর্ট হাতিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব চলে গেছেন ভারতীয় এক নাগরিক

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:৫২:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মার্চ ২০২০
  • / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট হাতিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব চলে গেছেন ভারতীয় এক নাগরিক। পুলিশ ভেরিফিকেশনে আপত্তির পরও খোদ অফিস প্রধানসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে পাসপোর্ট পান তিনি। পাসপোর্ট জালিয়াতির ঘটনা ঢাকতে গায়েব করা হয়েছে সমস্ত নথি। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা কার্যালয়ে। তবে ঘটনা তদন্তের পর মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।

২০১৭ সালে পাসপোর্ট বিভাগের শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিয়েছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবজাউল আলম। এর মাত্র কয়েক মাস পরই পাসপোর্ট কেলেঙ্কারিতে জড়ান তিনি। ওই বছরের ৬ জুন নগরীর ছোট বনগ্রাম এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্টের আবেদন করেন হাফেজ আহমেদ। এজন্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের তৎকালীন কম্পিউটার অপারেটর নূর ইসলাম রাজুকে ৫শ’ টাকা ঘুষ দিয়ে হাফেজের নামে ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ নেন, পাসপোর্ট অফিসেরই কর্মচারী রঞ্জুলাল সরকার।

ওই জন্মনিবন্ধন সনদে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সচিবের স্বাক্ষর রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, দুটি স্বাক্ষরই জাল। গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ার পর, তদন্তে মাঠে নেমে অভিযোগের সত্যতা পায় দুদক। এরপরই বৃহস্পতিবার দুদকের সহকারী পরিচালক মামনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে রাজশাহী কার্যালয়ে মামলা করেন। ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত পাসপোর্ট বিভাগের রাজশাহী কার্যালয়ের তৎকালীন প্রধান আবজাউল আলমও। পাসপোর্ট জালিয়াতির মতো গুরুতর মামলায় কোনোভাবেই যাতে অভিযুক্তরা পার পেয়ে না যায়, সে বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান রাজশাহীর সুজন সভাপতি। এ ঘটনায় সাতজন অভিযুক্ত হলেও বিভাগীয় তদন্তে দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এখনো বিভিন্ন কার্যালয়ে বহাল আছেন আবজাউল আলমসহ পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারী।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ভুয়া পাসপোর্ট হাতিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব চলে গেছেন ভারতীয় এক নাগরিক

আপডেট সময় : ০৫:৫২:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মার্চ ২০২০

ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট হাতিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব চলে গেছেন ভারতীয় এক নাগরিক। পুলিশ ভেরিফিকেশনে আপত্তির পরও খোদ অফিস প্রধানসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে পাসপোর্ট পান তিনি। পাসপোর্ট জালিয়াতির ঘটনা ঢাকতে গায়েব করা হয়েছে সমস্ত নথি। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা কার্যালয়ে। তবে ঘটনা তদন্তের পর মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।

২০১৭ সালে পাসপোর্ট বিভাগের শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিয়েছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবজাউল আলম। এর মাত্র কয়েক মাস পরই পাসপোর্ট কেলেঙ্কারিতে জড়ান তিনি। ওই বছরের ৬ জুন নগরীর ছোট বনগ্রাম এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্টের আবেদন করেন হাফেজ আহমেদ। এজন্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের তৎকালীন কম্পিউটার অপারেটর নূর ইসলাম রাজুকে ৫শ’ টাকা ঘুষ দিয়ে হাফেজের নামে ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ নেন, পাসপোর্ট অফিসেরই কর্মচারী রঞ্জুলাল সরকার।

ওই জন্মনিবন্ধন সনদে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সচিবের স্বাক্ষর রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, দুটি স্বাক্ষরই জাল। গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ার পর, তদন্তে মাঠে নেমে অভিযোগের সত্যতা পায় দুদক। এরপরই বৃহস্পতিবার দুদকের সহকারী পরিচালক মামনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে রাজশাহী কার্যালয়ে মামলা করেন। ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত পাসপোর্ট বিভাগের রাজশাহী কার্যালয়ের তৎকালীন প্রধান আবজাউল আলমও। পাসপোর্ট জালিয়াতির মতো গুরুতর মামলায় কোনোভাবেই যাতে অভিযুক্তরা পার পেয়ে না যায়, সে বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান রাজশাহীর সুজন সভাপতি। এ ঘটনায় সাতজন অভিযুক্ত হলেও বিভাগীয় তদন্তে দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এখনো বিভিন্ন কার্যালয়ে বহাল আছেন আবজাউল আলমসহ পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারী।