০৭:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

ভাসানচরে হাতছানি দিচ্ছে বহুমাত্রিক সম্ভাবনা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:০১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জীববৈচিত্র আর প্রাণ-প্রকৃতিতে ভরপুর ভাসানচরে হাতছানি দিচ্ছে বহুমাত্রিক সম্ভাবনা। পলিমাটির এই ছোট্ট দ্বীপটি চাষের পাশাপাশি গবাদি পশুর পরিকল্পিত খামারের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছে বঙ্গপোসাগর আর মেঘনার মোহনায় জেগে ওঠা এই চরে। সেইসঙ্গে রয়েছে ইকো টুর্যিজেমের অপার সম্ভাবনা।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে, দিনভর সবুজের সমারোহে উড়ে বেড়ায় পাখি। ছোট ছোট জলাশয়গুলোতে চোখে পড়ে রাজহাঁসের রাজকীয় বিচরণ। তিন বছর আগে এই ভাসানচরকে পরিকল্পিত আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় সরকার।শুরুতে ৫০টি ভেড়া নিয়ে আসে নৌ বাহিনী। সামান্য পরিচর্যায় অল্প দিনেই প্রজনন বেড়ে কয়েক হাজারে দাঁড়িয়েছে ভেড়ার পাল। এর বাইরে হাতিয়া ও সন্দ্বীপ থেকে রাখাল এনে কয়েক হাজার মহিষ লালন-পালন করা হয়। চরের ঘাস ও ম্যানগ্রোভের পাতা খেয়ে বেশ হৃস্ট-পুষ্ট হচ্ছে পশু-পাখি।

বঙ্গপোসাগর আর মেঘনার মোহনায় জেগে ওঠা এই চরের আয়তন প্রায় ১৩ হাজার একর। ভাটার সময় আরো বেশি দৃশ্যমান হয়। এর মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য পরিকল্পিত আশ্রয়নকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে মাত্র সাড়ে চার’শ একর জমিতে। বাকিটা ঘিরে তৈরি হয়েছে ইকো টুর্যি জমের সম্ভাবনা।পরিকল্পিত এ নগরীতে এক লাখ রোহিঙ্গা স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। ইতিমধ্যে চার দফায় ছ’হাজার রোহিঙ্গা এসেছে। এর বাইরে নোয়াখালীর কয়েক হাজার মানুষ ভাসানচরে বসবাস করছে বেশ কয়েক বছর ধরে। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য এনজিও এবং সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে বলে মনে করেন, এই ব্যবসায়ী নেতা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাত্র ২০ বছর আগে জেগে ওঠা এই চরের আয়তন দিন দিন বাড়ছে। বিশাল এই ভূমি শুধু রোহিঙ্গা আশ্রয়নে সীমাবদ্ধ না রেখে, এর বহুমাত্রিক ব্যবহারের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ভাসানচরে হাতছানি দিচ্ছে বহুমাত্রিক সম্ভাবনা

আপডেট সময় : ০২:০১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

জীববৈচিত্র আর প্রাণ-প্রকৃতিতে ভরপুর ভাসানচরে হাতছানি দিচ্ছে বহুমাত্রিক সম্ভাবনা। পলিমাটির এই ছোট্ট দ্বীপটি চাষের পাশাপাশি গবাদি পশুর পরিকল্পিত খামারের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছে বঙ্গপোসাগর আর মেঘনার মোহনায় জেগে ওঠা এই চরে। সেইসঙ্গে রয়েছে ইকো টুর্যিজেমের অপার সম্ভাবনা।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে, দিনভর সবুজের সমারোহে উড়ে বেড়ায় পাখি। ছোট ছোট জলাশয়গুলোতে চোখে পড়ে রাজহাঁসের রাজকীয় বিচরণ। তিন বছর আগে এই ভাসানচরকে পরিকল্পিত আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় সরকার।শুরুতে ৫০টি ভেড়া নিয়ে আসে নৌ বাহিনী। সামান্য পরিচর্যায় অল্প দিনেই প্রজনন বেড়ে কয়েক হাজারে দাঁড়িয়েছে ভেড়ার পাল। এর বাইরে হাতিয়া ও সন্দ্বীপ থেকে রাখাল এনে কয়েক হাজার মহিষ লালন-পালন করা হয়। চরের ঘাস ও ম্যানগ্রোভের পাতা খেয়ে বেশ হৃস্ট-পুষ্ট হচ্ছে পশু-পাখি।

বঙ্গপোসাগর আর মেঘনার মোহনায় জেগে ওঠা এই চরের আয়তন প্রায় ১৩ হাজার একর। ভাটার সময় আরো বেশি দৃশ্যমান হয়। এর মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য পরিকল্পিত আশ্রয়নকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে মাত্র সাড়ে চার’শ একর জমিতে। বাকিটা ঘিরে তৈরি হয়েছে ইকো টুর্যি জমের সম্ভাবনা।পরিকল্পিত এ নগরীতে এক লাখ রোহিঙ্গা স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। ইতিমধ্যে চার দফায় ছ’হাজার রোহিঙ্গা এসেছে। এর বাইরে নোয়াখালীর কয়েক হাজার মানুষ ভাসানচরে বসবাস করছে বেশ কয়েক বছর ধরে। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য এনজিও এবং সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে বলে মনে করেন, এই ব্যবসায়ী নেতা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাত্র ২০ বছর আগে জেগে ওঠা এই চরের আয়তন দিন দিন বাড়ছে। বিশাল এই ভূমি শুধু রোহিঙ্গা আশ্রয়নে সীমাবদ্ধ না রেখে, এর বহুমাত্রিক ব্যবহারের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে।