ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনকালে দফায় দফায় হামলা
- আপডেট সময় : ০৭:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মার্চ ২০২১
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
মোদী বিরোধী বিক্ষোভ, সমাবেশ ও সংঘর্ষে নিহতের ঘটনার জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনকালে দফায় দফায় হামলা, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, সড়কে ব্যারিকেড ও ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে হেফাজত কর্মীরা। সকালে জেলার সরাইল থানায় লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে হরতালকারীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পিতা-পুত্র নিহত হয়। ব্রাহ্মবাড়িয়া রেলস্টেশনে হামলা ও আগুন দেয়ার ঘটনায় বন্ধ রয়েছে সিলেটের সঙ্গে ট্রেন চলাচল। এছাড়াও রাজশাহীতে দুটি বিআরটিসি’র বাসে আগুন দিয়েছে হেফাজত কর্মীরা।
হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে রোববার হরতালকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর পিতা-পুত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আলতু মিয়া ও তার পুত্র হাদিস মিয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের খাটিহাতা গ্রামের বাসিন্দা। এদিকে সকাল থেকেই সরাইলের সড়ক–মহাসড়ক হরতাল সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
রোববার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা ট্রেনে হরতাল সমর্থকরা ভাঙচুর চালায়। রেললাইনের নাট-বল্টু খুলে রেললাইন উপড়ে ফেলে। এতে চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালীর রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সকাল থেকে হেফাজতের নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে জেলার বিভিন্ন সড়কে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় জেলার কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ স্থাপনা ভাঙচুর ও আগুন দেয় হরতাল সমর্থনকারীরা।
এদিকে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়ে গাছের গুঁড়ি ও টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ করে হেফাজত ইসলামের কর্মীরা। এছাড়াও শহরের ডিআইটি জামে মসজিদের সামনেও বিক্ষোভ হয়। বিজিবি পুলিশ-রেব সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে টহল জোরদার করে।
রাজশাহীতে বিআরটিসির দুটি পরিত্যক্ত বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সকালে নগরীর নওদাপাড়ায় টার্মিনালে বিআরটিসির দুটি বাসের মধ্যে একটিতে আগুন দিলে অন্যটিতেও ছড়িয়ে পড়ে।