বৈরি প্রকৃতি আর সমুদ্রের করাল গ্রাসে অস্তিত্ব হারাচ্ছে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা
- আপডেট সময় : ০২:২২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫১৬ বার পড়া হয়েছে
বৈরি প্রকৃতি আর সমুদ্রের করাল গ্রাসে অস্তিত্ব হারাচ্ছে দেশের সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার একমাত্র বেলাভূমি সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। প্রতিনিয়ত জোয়ারের তান্ডবে বালু ক্ষয়ে ধুয়ে মুছে যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সব দর্শনীয় স্থান। জৌলুস হারিয়ে শ্রীহীন হয়ে পড়েছে সাগরকন্যা। দর্শনীয় স্থানগুলো সমুদ্রে বিলীন হওয়ায় কুয়াকাটা ভ্রমনে আকর্ষন হারাচ্ছে পর্যটক।
দেশের সর্ব দক্ষিনে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে নৈসর্গিক দৃষ্টিনন্দন স্পট কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। তবে, কয়েকবছর ধরে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের তান্ডবে অব্যাহত রয়েছে সৈকতের বালু ক্ষয়। বিলীন হয়ে গেছে সৈকতের বেশির ভাগ এলাকা। সম্প্রতি, পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও টিউব ফেলে অস্থায়ীভাবে সৈকত রক্ষার চেষ্টা করলেও, কমেনি ভাঙন। দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকত জুড়ে চলছে ভাঙ্গনের তীব্রতা।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান থেকে শুরু করে লাগাতার ঢেউয়ের ঝাঁপটায় লন্ডভন্ড হয়ে উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছপালা। ঝুঁকির মুখে রয়েছে সৈকত লাগোয়া মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, ট্যুরিজম পার্ক, শুটকি মার্কেট, ফ্রাই পল্লী, ঝিনুকের দোকান। অব্যাহত ভাঙনে জৌলুস হারিয়ে এখন শ্রীহীন হয়ে পড়েছে সৈকত। আগের মতো পর্যটকের মন ছুঁতে পারছে না সাগরকন্যার মায়াবী রুপ।
সৈকতের ভাঙন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, কুয়াকাটা পৌর মেয়র। নেদারল্যান্ডসের প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। ২০০৪ থেকে কয়েকদফা সমীক্ষা চালিয়েও নির্মান করা হয়নি স্থায়ী বাঁধ। তবে, গত বছর ভাঙ্গন কবলিত স্থান মেরামত করা হয়েছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মানের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানান, এই কর্মকর্তা। সৈকত ভাঙ্গন রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে, পর্যটক ও স্থানীয়রা।