শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু- বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বগুড়া জেলার বালেন্দা গ্রামের কথা
- আপডেট সময় : ০১:৫৩:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১
- / ১৫০৩ বার পড়া হয়েছে
‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ গ্রীনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এর স্বীকৃতি অর্জনের পর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বগুড়ার জেলার বালেন্দা গ্রামের কথা। গৌরবময় এই অর্জণের অংশ হতে পেরে খুশী জমি বর্গা দেওয়া কৃষকসহ স্থানীয়রা। ইতিহাস রচনাকারি এই শস্যচিত্র দেখতে প্রতিদিনই বাড়ছে দর্শনার্থীর সংখ্যা। তবে ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলেন, ১শ বিঘা জমিতে ফুটিয়ে তোলা শস্য চিত্রটি ভাল করে দেখবার জন্য উচুঁ টাওয়ারসহ অস্থায়ী কিছু অবকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন।
উপর থেকে বগুড়ার বালেন্দা গ্রামের শস্যচিত্রের দৃশ্য এটি। যেখানে মূর্ত হয়ে উঠেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১শ বিঘা জমিতে সবুজ ও বেগুনী ধানের এই প্রাকৃতিক শিল্পকর্মকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শস্যচিত্রের স্বীকৃতি দিয়েছে গ্রিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ। মুজিব জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীর সন্ধিক্ষণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শস্যচিত্রের স্বীকৃতি অর্জন করায় খুশী কৃষক সহ স্থানীয় গ্রামবাসী।
তবে উপর থেকে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি স্পষ্ট বোঝা গেলেও নীচ থেকে তা সম্ভব হয় না। তাই বাধ্য হয়ে অনেকেই গাছে উঠে চেষ্টা করেন, জাতির পিতার শস্যচিত্রটি ভাল করে দেখার জন্য। যদিও সেই কাজ করেতে গিয়ে কষ্ট করতে হয় অনেক, তবুও জাতির পিতার প্রতি ভালবাসা ও আবেগের কারণে সেই চেষ্টা করেন দর্শনার্থীরা। তেমনি একজন ভবানীপুর ইউনিয়নের শ্রী আনন্দ হাজদা।
আনন্দের মত ঘুরতে আসা অনেক পর্যটকই জানালেন কিছু অস্থায়ী অবকাঠামো গড়ে তোলা আজ সময়ের দাবী।
তবে আয়োজকরা জানিয়েছেন তিনমাস পর শস্যচিত্রে ব্যবহার করা চীন থেকে আমদানী করা সবুজ ও বেগুনী ধান কাটার উপযোগী হবে এবং ধান কাটার পরও বোঝা যাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি।