বিভিন্ন জেলায় জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ছয় জনের মৃত্যু
- আপডেট সময় : ০৬:১৪:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কুষ্টিয়া, জয়পুরহাট ও চাপাইনবাবগঞ্জে জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ছয় জন মারা গেছে। মৃতদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। মৃতদের বাড়িসহ আশাপাশের এলাকা লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রইছউদ্দিন নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে, ওই ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। মৃত রইছউদ্দিন তিন দিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শহীদুল ইসলাম নামে এক গার্মেন্ট শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। তাড়াশ উপজেলার নির্বাহী অফিসার জানান, গার্মেন্ট কর্মী শহীদুল গত ১ এপ্রিল ঢাকা থেকে নিজ বাড়ীতে ফেরেন। তখন থেকেই তার হাঁচি-কাশির উপসর্গ ছিলো।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পানছড়ি আশ্রায়ণ প্রকল্পে শ্বাসকষ্টে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আশ্রায়ণ প্রকল্পটিতে জনগণের চলাচল সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
কুষ্টিয়ার খোকসা-পাংশা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় এক যুবক জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে মৃত্ববরণ করেছেন। এদিকে সোমবার দুপুরে সর্দি, কাশি, জ্বর উপসর্গ নিয়ে সদর উপজেলার পৌর এলাকার ২ জন মহিলাসহ ৩ জনকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে ছানোয়ার হোসেন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ছানোয়ার বিন্নিপাড়া গ্রামের হাবিবের ছেলে। সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিম মিঞা জানান, ছানোয়ার কয়েকদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিল। করোনা ভাইরাসে তার মৃত্যু হয়েছে কিনা তা পরীক্ষার পরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
চাপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ-জ্বর সর্দি ও শ্বাসকষ্টে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় সাহেবগ্রাম তার মৃত্যু হলে স্থানীয় প্রশাসন গ্রামটি লকডাউন করেছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুর রহমান জানান, মৃত ব্যক্তি মানিকগঞ্জে কাজ করতেন; সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে, সোমবারই তিনি নিজ গ্রামে ফিরে আসেন।