বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পানি কমার সাথে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন
- আপডেট সময় : ১২:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পানি কমার সাথে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। পাশাপাশি খাদ্য সংকটে পরেছে দুর্গতরা।
কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর এক সপ্তারেও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনও স্বাভাবিক হয়ে উঠেনি ৪ শতাধিক চরের মানুষের জীবন-যাপন। অর্থের অভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ঘর-বাড়িতে খাদ্য সংকট নিয়ে দিন কাটছে হতদরিদ্র মানুষদের। অন্যদিকে দুর্বিসহ অবস্থায় দিন কাটছে বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া ও ভাঙ্গনে ঘর-বাড়ি হারানো পরিবারগুলোর। বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবার আমনের আবাদ করতে পারছেন না চরাঞ্চলের কৃষকেরা।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও দফায় দফায় বৃষ্টিতে পঞ্চম দফায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি ৭ম দিনের মত বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি শহররক্ষা বাঁধ পয়েন্টে আরও ৬ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর উপজেলার মেঘাইঘাট পয়েন্টে আরও ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের পদ্মা,মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীতে গত কদিন ধরেই কমছে বন্যার পানি।ফলে বন্যা কবলিত লৌহজং,শ্রীনগর,সিরাজদিখান,টঙ্গীবাড়ী ও গজারিয়া উপজেলার ৩৯টি ইউনিয়নের ২৬৫টি গ্রামের অধিকাংশ বানভাসীদের বাড়ীঘর ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পানি নামলেও দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ।
পদ্মা নদীতে পানি কমতে থাকায় মাদারীপুরের শিবচরের চরাঞ্চলের নদী ভাঙ্গনের ব্যাপকতা বেড়েছে। ৫শতাধিক ঘরবাড়ি কোন রকম সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বিস্তৃর্ন জনপদসহ আক্রান্ত হয়েছে বিদ্যুত ব্যবস্থা, সড়ক ব্যবস্থাও। ভয়াবহ ভাঙ্গন ঝূকিতে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক, বাজারসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা।
মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি আবার বাড়তে শুরু করেছে। শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে সকাল ৯ টার দিকে এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৬ সেন্টিমিটার বাড়লেও এখনও বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অভ্যন্তরীন নদ নদীর পানি কমায় জেলায় পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। খাদ্যসংকটে পড়েছে দুর্গতরা।
নেত্রকোনার ধনু নদীর পানি আজ সকালে খালিয়াজুরী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।ধীর গতিতে পানি কমতে শুরু করায় দীর্ঘ মেয়াদি বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
এদিকে কংস, সোমেশ্বরী, উব্দাখালীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।