১১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

বিপনন বিভাগের সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি জালালাবাদ গ্যাসের হাজারো গ্রাহক

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:২৩:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিপনন বিভাগের এক সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে জালালাবাদ গ্যাসের হাজারো গ্রাহক ও ঠিকাদার। সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে রয়েছেন বিপনন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শামসুল আলম। গ্রাহক-ঠিকাদারদের নানা অভিযোগের পর গত ২৫ মার্চ এক আদেশে তাকে বিপনন বিভাগ থেকে বদলি করা হয় অপারেশন বিভাগে। কিন্তু ক্ষমতার দাপটে বদলিকৃত স্থানে যোগদান করেননি শামসুল আলম। বাধ্য হয়েই জালালাবাদ গ্যাস প্রশাসন তাকে বিপনন বিভাগে পুনর্বহালের আদেশ ইস্যু করে। আর সবকিছু জেনেও চুপচাপ প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী প্রধান। তদন্ত করছে দুদক।

দূর্নীতির আতুরঘর সিলেটের জালালাবাদ গ্যাসের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে এসএ টিভিতে সংবাদ প্রচারের পর অগণিত গ্রাহক ঠিকাদারদের কাছ থেকে আসতে শুরু করে আরোও সীমাহীন দুর্নীতির খবর। এসএ টিভির অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আরো কিছু লোমহর্ষক দুর্নীতি ও দাপুটে কর্মকর্তাদের লুটপাটের হিসেব। জালালাবাদ গ্যাসের সবচেয়ে শক্তিশালী সিন্ডিকেটের প্রধান বিপনন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শামসুল আলম শাহিন। যার স্বেচ্ছাচারিতায় ভোগান্তিতে আছেন সিলেটের কয়েক হাজার গ্রাহক।গ্রাহকদের আবাসিক-বাণিজ্যিক সংযোগে সীমাহীন অনিয়ম ও ঠিকাদারদের ভোগান্তি নিয়ে ঠিকাদারদের সংগঠন জালালাবাদ গ্যাস কন্ট্রাক্টটর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ব্যাবস্থাপনা পরিচালক বরাবর গত বছরের ১২ ডিসেম্বর লিখিত আবেদন করেন। অভিযোগ আছে ঐ কর্মকর্তার পছন্দের ঠিকাদার ছাড়া অন্যদের ফাইল আটকে থাকে মাসের পর মাস।

আবেদনের প্রেক্ষিতে শামসুল আলমের দীর্ঘ জটিলতার সমাধানে ২৫ মার্চ বিপনন বিভাগ থেকে তাকে বদলী করা হয়। কিন্তু ক্ষমতা দেখিয়ে বদলিকৃত স্থানে যোগদানই করেননি এই দাপুটে কর্মকর্তা। তার স্থলে পদায়নকৃত প্রকৌশলী এবি এম শরীফ আহমদ যোগদান করেন ২৯ মার্চ।এ ব্যাপারে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বক্তব্য চেয়ে ফোন-ম্যাসেজ সহ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

আর এতো অভিযোগ যার বিরুদ্ধে সেই শামসুল আলম শাহিনকে ফোন দিলে ফোন ধরেন না, কেটে দেন কখনো বা রিসিভ করে ফোন ফেলে রাখেন।এসকল অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে দুদক।জালালাবাদ গ্যাসের স্বেচ্ছাচারিতা- দুর্নীতির কাছে অনেকটাই অসহায় গ্রাহক ও ঠিকাদাররা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বিপনন বিভাগের সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি জালালাবাদ গ্যাসের হাজারো গ্রাহক

আপডেট সময় : ০২:২৩:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১

বিপনন বিভাগের এক সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে জালালাবাদ গ্যাসের হাজারো গ্রাহক ও ঠিকাদার। সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে রয়েছেন বিপনন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শামসুল আলম। গ্রাহক-ঠিকাদারদের নানা অভিযোগের পর গত ২৫ মার্চ এক আদেশে তাকে বিপনন বিভাগ থেকে বদলি করা হয় অপারেশন বিভাগে। কিন্তু ক্ষমতার দাপটে বদলিকৃত স্থানে যোগদান করেননি শামসুল আলম। বাধ্য হয়েই জালালাবাদ গ্যাস প্রশাসন তাকে বিপনন বিভাগে পুনর্বহালের আদেশ ইস্যু করে। আর সবকিছু জেনেও চুপচাপ প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী প্রধান। তদন্ত করছে দুদক।

দূর্নীতির আতুরঘর সিলেটের জালালাবাদ গ্যাসের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে এসএ টিভিতে সংবাদ প্রচারের পর অগণিত গ্রাহক ঠিকাদারদের কাছ থেকে আসতে শুরু করে আরোও সীমাহীন দুর্নীতির খবর। এসএ টিভির অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আরো কিছু লোমহর্ষক দুর্নীতি ও দাপুটে কর্মকর্তাদের লুটপাটের হিসেব। জালালাবাদ গ্যাসের সবচেয়ে শক্তিশালী সিন্ডিকেটের প্রধান বিপনন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শামসুল আলম শাহিন। যার স্বেচ্ছাচারিতায় ভোগান্তিতে আছেন সিলেটের কয়েক হাজার গ্রাহক।গ্রাহকদের আবাসিক-বাণিজ্যিক সংযোগে সীমাহীন অনিয়ম ও ঠিকাদারদের ভোগান্তি নিয়ে ঠিকাদারদের সংগঠন জালালাবাদ গ্যাস কন্ট্রাক্টটর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ব্যাবস্থাপনা পরিচালক বরাবর গত বছরের ১২ ডিসেম্বর লিখিত আবেদন করেন। অভিযোগ আছে ঐ কর্মকর্তার পছন্দের ঠিকাদার ছাড়া অন্যদের ফাইল আটকে থাকে মাসের পর মাস।

আবেদনের প্রেক্ষিতে শামসুল আলমের দীর্ঘ জটিলতার সমাধানে ২৫ মার্চ বিপনন বিভাগ থেকে তাকে বদলী করা হয়। কিন্তু ক্ষমতা দেখিয়ে বদলিকৃত স্থানে যোগদানই করেননি এই দাপুটে কর্মকর্তা। তার স্থলে পদায়নকৃত প্রকৌশলী এবি এম শরীফ আহমদ যোগদান করেন ২৯ মার্চ।এ ব্যাপারে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বক্তব্য চেয়ে ফোন-ম্যাসেজ সহ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

আর এতো অভিযোগ যার বিরুদ্ধে সেই শামসুল আলম শাহিনকে ফোন দিলে ফোন ধরেন না, কেটে দেন কখনো বা রিসিভ করে ফোন ফেলে রাখেন।এসকল অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে দুদক।জালালাবাদ গ্যাসের স্বেচ্ছাচারিতা- দুর্নীতির কাছে অনেকটাই অসহায় গ্রাহক ও ঠিকাদাররা।