বিধিনিষেধ নিয়ে সমন্নয়হীন বক্তব্যে অর্ডার নিতে সাহস পায়নি গার্মেন্টস মালিকরা
- আপডেট সময় : ০২:০৪:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫০৩ বার পড়া হয়েছে
মাত্র এক বিলিয়ন ডলারের পণ্য বেশি রপ্তানী করেই ওয়ার্ল্ড রেংকিংয়ে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনাম।এর কারণ হিসেবে উদ্যোক্তরা বলছেন, তৈরী পোশাক শিল্প লকডাউনের আওতামুক্ত থাকলেও বায়ারদের কাছে খবরটা ঠিকমতো পৌঁছেনি। আর দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের একেক সময় একেক ধরনের বক্তব্যে বড় অর্ডারগুলো ধরতে সাহস পায়নি গার্মেন্টস মালিকরা। তবে সরকারের সহায়তা পেলে সহসায় আগের অবস্থানে ফিরে আসার প্রত্যয় জানিয়েছেন তারা।
করোনার বিস্তার ঠেকাতে গেল দেড় বছর ধরে দফায় দফায় বিধি-নিষেধ আরোপ করে সরকার। প্রথম দফায় এক মাস আর শেষবারে ৭ দিন ছাড়া বাকি সময়টা তৈরী পোশাক শিল্প এর আওতামুক্ত থাকলেও খবরটি পৌছায়নি বিদেশী বায়ারদের কাছে। ফলে বড় অর্ডার আসেনি বাংলাদেশে। আর এতেই হারাতে হয়েছে ওয়ার্ল্ড রেকিংয়ের দ্বিতীয় অবস্থান।
বিজিএমইএ বলছে, গেল অর্থবছরে ৩৬ বিলিয়ন ডলারের তৈরী পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু বছর শেষে অর্জিত হয়েছে ২৭ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। আর এই সময়ের মধ্যে ভিয়েতনাম রপ্তানী করেছে ২৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
২০২০ সালে প্রায় সাড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলারের তৈরী পোশাক রপ্তানী করে বাংলাদেশ। তাই ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলে আগের অবস্থানে ফিরতে নির্বিঘ্নে কারখানা চালানোর নিশ্চয়তা চান এই খাতের উদ্যোক্তারা।
প্রতি ঈদে ৬ থেকে ৭ দিন করে ছুটি থাকে গার্মেন্টসগুলোতে। কিন্তু বন্দর থেকে পণ্য খালাস, বায়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাসহ আনুসাঙ্গিক কাজগুলো চলে সবসময়। অথচ এবারের চিত্র ছিল সম্পুর্ণ আলাদা।
সবশেষ ২০১০ সালে বিশ্ববাজারের ৪ দশমিক ২ শতাংশ চাহিদা মিটিয়ে তুরস্ককে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠেছিলো বাংলাদেশ।