বাংলাদেশ থেকে থামছে না নারী ও শিশু পাচার
- আপডেট সময় : ১০:১৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ থেকে নারী ও শিশু পাচার থামানো যাচ্ছে না। দারিদ্র্যের কারণে প্রতিবছর পাচারের শিকার হচ্ছে কয়েক হাজার নারী ও শিশু। যাদের ভাগ্য ভালো- তাদের কেউ কেউ দেশে ফিরতে পারলেও বেশিরভাগই থেকে যাচ্ছে অন্ধকার জগতে। পাচারের শিকার বেশিরভাগ নারী ও শিশুকে বিক্রি করে দেয়া হয় যৌনদাসী হিসেবে। এক্ষেত্রে ৮/৯ হাত বদল হয়ে একেকজনের দাম ওঠে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।
বিয়ের ১৮ দিনের মাথায় নতুন স্বপ্নে বিভোর গৃহকর্মী হিসেবে দেশের বাহিরে পাড়ি দেন রুমা। ১৯ দিন পর দেশে ফিরে এখন মৃত্যু শয্যায় জীবন বাচাঁনোর আকুতি তার। এমন হাজারো অজানা আকুতি অজানাই রয়েছে বাংলাদেশী নারীদের। এজেন্সির মাধ্যমে নারীকর্মীরা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গেলেও শেষ পর্যন্ত পড়ে যান দালালদের খপ্পড়ে।
রুমা’র পরিবার বিদেশ যেতে দিতে না চাইলেও দালালরা বাধ্য করে। একজন নারী গৃহকর্মী বিদেশে পাঠালে লোকাল দালালরা ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা কমিশন পায়। ৮ থেকে ৯ হাত বদল হয়ে তারা শেষ পর্যন্ত ২ থেকে ৩ বছরের জন্য বিক্রি হয় ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকায়। এসএ টিভির অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে রুমাকে পাচারকারী দালালের পরিচয়। ক্যামেরায় কথা বলতে নারাজ মহিলা দালাল হেনা দাবি করেন তার স্বামী একটি রাজনৈতিক দলের নেতা। মূলত এর প্রভাব দেখিয়েই তারা নারীদের বিদেশে পাঠানোর নামে খুব সহজে প্রতারণার ফাঁদ ফেলতে পারেন।
কিন্তু তার মেয়ে বলছেন ভিন্ন কথা, নির্যাতনের শিকার রুমা যখন বিমান বন্দরে নামেন তখন দালালরা তার পাসপোর্ট নিয়ে যায়।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ নিয়ে বেশ তৎপর হলেও দালাল চক্র থেকে যায় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।দালালদের দৌরাত্ব্য বন্ধে সব মহলের নজরদারির কথা বলছেন নারী কর্মিরা।প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নারীপাচার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রত্যাশা অসহায় মানুষের।