বাংলাদেশের ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির সাথে নতুন করে আরও ২৫টির অনুমোদন দিতে যাচ্ছে মালেশিয়া সরকার। গতকাল দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। আইএলও কনভেনশনের ফাঁদে পড়লে স্থায়ীভাবে মানবসম্পদ রপ্তানি বন্ধ হবার আশঙ্কাও করছেন অনেকে।

আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আবারও চালু হতে যাচ্ছে মালেশিয়ার শ্রমবাজার। কিন্ত শুরু হবার আগেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। জটিলতা এড়াতে মালেশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির সাথে আরও ২৫টিকে অনুমোন দেয়ার প্রক্রিয়া শেষের দিকে। যদিও এ সীমিত সংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দেয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন বায়রা নেতারা।

মালেশিয়ায় লোক পাঠানোর প্রক্রিয়া নিয়ে ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক, ভিসা প্রাপ্তিতে অসচ্ছতা, সরকার অনুমোদন ছাড়া মেডিক্যাল করানোসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

অভিবাসন নিয়ম না মেনে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো হলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও’র নজরদারীতে পড়তে পারে বাংলাদেশ। এতে স্থায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে শ্রমিক রপ্তানী।

এরই মধ্যে মালেশিয়ায় লোক পাঠানো নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এক কোম্পানীর কাথা বলে অন্য কোম্পানীর নামে ভিসা দেয়া হচ্ছে।

২০০৬-২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রপ্তানীতে ঘটে যাওয়া দুর্নীতির কথা স্মরন করিয়ে দিয়ে বায়রার সাবেক মাহসচিব, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকারের মনিটরিং এর ওপর জোর দেয়ার কথা বলেন।

সব ধরনের জটিলতা কাটিয়ে আন্তজার্তিক মানদন্ড মেনে বাংলাদেশী শ্রমিকরা মালেশিয়ায় কাজ যেতে পারবেন। এমন প্রত্যাশা এ খাতের সাথে সংশ্লীষ্টদের।