বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনো ঘরে ফিরতে পারেনি বেশিরভাগ বানভাসী পরিবার
- আপডেট সময় : ১২:০৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, নোয়াখালী, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জে নদ-নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনো ঘরে ফিরতে পারেনি বেশিরভাগ বানভাসী পরিবার।
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ঘর-বাড়ি থেকে বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে না যাওয়ায় ২ সপ্তাহ ধরে দুর্গতরা পাকা সড়ক, বাঁধ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। অন্যদিকে বন্যা কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ ঘর-বাড়িতে দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যা কবলিতদের। ত্রাণ স্বল্পতায় খাদ্য সংকটে পড়েছেন তারা। দীর্ঘ সময় পানিতে তলিয়ে থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে এসব এলাকার বিভিন্ন ফসলসহ সবজি ক্ষেত। বন্যা কবলিত এলাকার কাঁচা-পাকা সড়কগুলো বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীসহ অভ্যন্তরীণ সকল নদ নদীর পানি কমা অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় অনেকে ঘরে ফিরলেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি বানভাসিদের জীবনযাপন। এদিকে পানি কমতে থাকলেও দীর্ঘদিন পানিবন্দী থাকা মানুষদের পানিবাহিত রোগ-ব্যাধি বেড়েছে। এছাড়াও শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। বানভাসীরা তেমন কোন ত্রাণ সহায়তা না পেলেও বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কাজ দ্রুত শুরু করার দাবী জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকসহ বন্যাকবলিতরা।
পূর্ণিমার জোয়ারে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ৫টি ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তিনদিন ধরে জোয়ারে এসব এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে উপজেলার সুখচর, নলচিরা, চরঈশ্বর, হরনী ও চানন্দী ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। আগামী আরো কয়েকদিন একই অবস্থা বিরাজ করবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
টাঙ্গাইলে কমতে শুরু করেছে আঞ্চলিক নদ-নদীর পানি। তবে এখনো ঝিনাই ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
মানিকগঞ্জে যমুনার পানি কমতে শুরু করলেও নদীপাড়ের ভাঙ্গন থামেনি। হরিরামপুর, ঘিওর, শিবালয়, দৌলতপুর এবং সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এখন নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী না আসার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।