বন্যা পরবর্তী সময়ে অতিকষ্টে দিন পার করছেন দুর্গত মানুষেরা
- আপডেট সময় : ০৩:২০:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রাম, মাদারীপুর, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরবর্তী সময়ে অতিকষ্টে দিন পার করছেন দুর্গত মানুষেরা।অন্যদিকে অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে নদীভাগঙ্গন।
বন্যা পরবর্তী সময়ে অতিকষ্টে দিন পার করছেন কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষেরা। করোনা ও বন্যা পরিস্থিতিতে কয়েক মাস ধরে বেকার বসে থাকায় চরম খাদ্য সংকটে পড়েছেন তারা। সবচে বেশি বিপাকে পড়েছেন ঘর-বাড়ি ভেসে যাওয়া ও দিনমজুর শ্রেণির পরিবারগুলো।
বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে বেসরকারীভাবে সামান্য ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও সবার ভাগ্যে তা জুটছে না।
পদ্মার ভয়াবহ ভাঙ্গনে কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়। গত এক সপ্তাহ আগে পদ্মার ভাঙ্গনে বন্দরখোলা ইউনিয়নের একটি ৩ তলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। আড়িয়াল খা তীরবর্ত্তী সন্ন্যাসীরচর, শিরুয়াইল, নিলখী ও বহেরাতলা দক্ষিনেও নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও দফায় দফায় বৃষ্টিতে পঞ্চম দফায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি ৬ষ্ঠ দিনের মত বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি শহররক্ষা বাঁধ পয়েন্টে আরও ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৫ এবং কাজিপুর উপজেলার মেঘাইঘাট পয়েন্টে আরও ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে বইছে।
মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনার পানি গত কয়েক দিন ধরে বাড়লেও জেলার অভ্যন্তরী নদ নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে দৃশ্যমান হচ্ছে জেলার বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।
নেত্রকোনার ধনু নদীর পানি সকালে খালিয়াজুরী পয়েন্টে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধীর গতিতে পানি কমতে শুরু করায় দীর্ঘ মেয়াদি বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। এদিকে কংস, সোমেশ্বরী, উব্দাখালীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।