১২:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

বছর ঘুরে বারবার ২১ আগষ্ট ফিরে আসে শোক আর ভয়াবহতার স্মৃতি নিয়ে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১৭:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৫১৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও, প্রাণ হারান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন। বছর ঘুরে বারবার দিনটি ফিরে আসে শোক আর ভয়াবহতার স্মৃতি নিয়ে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেল ৫টা কুড়ি মিনিট। সে সময়ের বিরোধী দলীয় নেতা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেবলই ভাষণ শেষ করেছেন। তখনো মঞ্চ ছাড়েননি। হঠাৎই বিকট শব্দ। বুঝে ওঠার আগেই, মাটিতে রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহামানের স্ত্রী, সে সময়ের মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আইভি রহমান; শরীর থেকে দু’টো পাই বিচ্ছিন্ন। মঞ্চের চারদিকে ছড়ানো ছিটানো জুতা-ব্যাগ আর টুকরো টুকরো মাংস পিণ্ড।

কারোরই হুঁশ নেই; কেবলই অজানা উদ্দেশ্যে ওদিক-ওদিক ছোটাছুটি। মনে আতংক আর অজানা শংকা। আহতদের নেয়া হয় হাসপাতালে। ২৪ জনকে বাঁচনো যায়নি। যারা বেঁচে ছিলেন, তাদের অনেককেই মেনে নিতে হয়েছিলো, পঙ্গুত্ব। কেউ কেউ বয়ে চলেছেন, শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার।

যে মঞ্চে ছিলেন শেখ হাসিনা, সেই মঞ্চটি বানানো হয়েছিলো একটি ট্রাকের ওপর। মঞ্চের বিভিন্ন দিক থেকে ছোঁড়া হয়েছিলো গ্রেনেড। উদ্দেশ্য ছিলো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরকে হত্যা করা। বিধাতা দুস্কৃতকারীদের সেই দুরাশা পূরণ হতে দেননি।

সময়ের বিবর্তনে বছর ঘুরে ফিরে আসে একুশে অগাস্ট। নির্মম সেই স্মৃতির সাথে বাড়তে থাকে হতাশা। কারণ, উচ্চ আদালত রায় দিলেও তা এখনো কার্যকর করা যায়নি। আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছিল, তাই সেসময়ের ক্ষমতাসীন দলেরও বিচার দাবি করে আহতরা ও নিহতের স্বজনরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বছর ঘুরে বারবার ২১ আগষ্ট ফিরে আসে শোক আর ভয়াবহতার স্মৃতি নিয়ে

আপডেট সময় : ০২:১৭:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অগাস্ট ২০২০

২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও, প্রাণ হারান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন। বছর ঘুরে বারবার দিনটি ফিরে আসে শোক আর ভয়াবহতার স্মৃতি নিয়ে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেল ৫টা কুড়ি মিনিট। সে সময়ের বিরোধী দলীয় নেতা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেবলই ভাষণ শেষ করেছেন। তখনো মঞ্চ ছাড়েননি। হঠাৎই বিকট শব্দ। বুঝে ওঠার আগেই, মাটিতে রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহামানের স্ত্রী, সে সময়ের মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আইভি রহমান; শরীর থেকে দু’টো পাই বিচ্ছিন্ন। মঞ্চের চারদিকে ছড়ানো ছিটানো জুতা-ব্যাগ আর টুকরো টুকরো মাংস পিণ্ড।

কারোরই হুঁশ নেই; কেবলই অজানা উদ্দেশ্যে ওদিক-ওদিক ছোটাছুটি। মনে আতংক আর অজানা শংকা। আহতদের নেয়া হয় হাসপাতালে। ২৪ জনকে বাঁচনো যায়নি। যারা বেঁচে ছিলেন, তাদের অনেককেই মেনে নিতে হয়েছিলো, পঙ্গুত্ব। কেউ কেউ বয়ে চলেছেন, শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার।

যে মঞ্চে ছিলেন শেখ হাসিনা, সেই মঞ্চটি বানানো হয়েছিলো একটি ট্রাকের ওপর। মঞ্চের বিভিন্ন দিক থেকে ছোঁড়া হয়েছিলো গ্রেনেড। উদ্দেশ্য ছিলো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরকে হত্যা করা। বিধাতা দুস্কৃতকারীদের সেই দুরাশা পূরণ হতে দেননি।

সময়ের বিবর্তনে বছর ঘুরে ফিরে আসে একুশে অগাস্ট। নির্মম সেই স্মৃতির সাথে বাড়তে থাকে হতাশা। কারণ, উচ্চ আদালত রায় দিলেও তা এখনো কার্যকর করা যায়নি। আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছিল, তাই সেসময়ের ক্ষমতাসীন দলেরও বিচার দাবি করে আহতরা ও নিহতের স্বজনরা।