০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

প্রায় ৫ কোটি টাকা বকেয়া রেখেই সিএনজি পাম্পকে পুণ:সংযোগ দিয়েছে কেজিডিসিএল

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:০১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৫১৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পেট্রোবাংলা ও জ্বালানী মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রায় ৫ কোটি টাকা বকেয়া রেখেই চট্টগ্রামের একটি সিএনজি পাম্পকে পুণ:সংযোগ দিয়েছে কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড। নিয়মানুযায়ী দেড় মাসের বিল বকেয়া হলেই সংযোগ বিচ্ছন্ন করার কথা। কিন্তু টানা নয় মাসের বিল বকেয়া পড়লেও পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি । উর্ধ্বতন মহলের তৎপরতায় নির্ধারিত সময়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন এমনকি পুন:সংযোগের ক্ষেত্রেও নিয়ম মানা সম্ভব হয়নি, বলে অকপটে স্বীকার করেন কেজিডিসিএল-এর এক মহাব্যবস্থাপক।

চট্টগ্রামের মোহড়া এলাকার শামান্তা সিএনজি স্টেশন। ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল টানা ৯ মাসের গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে কেজিডিসিএল। অথচ নিয়মানুযায়ী প্রতিমাসের বিল ইস্যুর তারিখ থেকে পরবর্তী ২০ দিনের মধ্যে পরিশোধ না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশনা আছে জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের।

গ্যাস বিপনন নীতিমালা ২০১৪ অনুযায়ী, সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া কোন প্রতিষ্ঠান এক বছরের মধ্যে সবগুলো শর্ত পুরণ করে পুন:সংযোগ নিতে ব্যার্থ হলে সেই সংযোগ স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন হিসেবে চিহ্নিত হবে।  পরবর্তিতে ওই গ্রাহক সংযোগ নিতে গেলে সম্পুর্ণ নতুন গ্রাহক হিসেবে চিহ্নিত হবেন। কিন্তু শামান্তার ক্ষেত্রে এসব নিয়মের কিছুই মানা হয়নি। সংযোগ বিচ্ছিন্নের প্রায় ২ বছর পর আদালতের একটি রায়কে পুঁজি করে প্রতিমাসে মাত্র ১০ লাখ টাকা করে দেয়ার শর্তে পুন:সংযোগ দিয়েছে কর্ণফূলী।

অথচ পেট্রোবাংলার সমন্ময় সভার সিন্ধান্ত মোতাবেক, কোন মামলায় হেরে গেলে আপিল করার পাশাপাশি পুরো বিষয়টি কোম্পানীর এমডি পেট্রোবাংলার বোর্ডকে জানাতে বাধ্য থাকবেন। কিন্তু শামান্তার কাছে মামলায় পরাজয়ের খবর বেমালুম চেপে গেছে কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ।  আপিলের পরিবর্তে আইনজীবীর একটি মতামত নিয়েই পুন:সংযোগ দেয়া হয়েছে সিএনজি পাম্পটিকে। যা পুরোপুরি অবৈধ বলছেন বিশ্লেষকরা।

বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানালেও আলাপকালে নিজেদের অনিয়মের কথা অকপটে স্বীকার করেন কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর এই মহা-ব্যবস্থাপক।

কেজিডিসিএল সুত্র জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের পর স্থায়ীভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও জামানতের টাকা সমন্ময় করার দায়িত্ব ছিলো ইঞ্জিনিয়ার ও সার্ভিসেস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক সারোয়ার আলম  আর উপমহাব্যবস্থাপক অনুপম দত্তের।  এছাড়া, উচ্চ আদালতে আপিল ও মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করার দায়িত্ব ছিলো কর্ণফূলীর এমডি প্রভঞ্জন বিশ্বাস ও বিপনন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক গৌতম চন্দ্র কুণ্ডুর।  কিন্তু কেউ তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেননি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

প্রায় ৫ কোটি টাকা বকেয়া রেখেই সিএনজি পাম্পকে পুণ:সংযোগ দিয়েছে কেজিডিসিএল

আপডেট সময় : ০২:০১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১

পেট্রোবাংলা ও জ্বালানী মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রায় ৫ কোটি টাকা বকেয়া রেখেই চট্টগ্রামের একটি সিএনজি পাম্পকে পুণ:সংযোগ দিয়েছে কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড। নিয়মানুযায়ী দেড় মাসের বিল বকেয়া হলেই সংযোগ বিচ্ছন্ন করার কথা। কিন্তু টানা নয় মাসের বিল বকেয়া পড়লেও পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি । উর্ধ্বতন মহলের তৎপরতায় নির্ধারিত সময়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন এমনকি পুন:সংযোগের ক্ষেত্রেও নিয়ম মানা সম্ভব হয়নি, বলে অকপটে স্বীকার করেন কেজিডিসিএল-এর এক মহাব্যবস্থাপক।

চট্টগ্রামের মোহড়া এলাকার শামান্তা সিএনজি স্টেশন। ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল টানা ৯ মাসের গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে কেজিডিসিএল। অথচ নিয়মানুযায়ী প্রতিমাসের বিল ইস্যুর তারিখ থেকে পরবর্তী ২০ দিনের মধ্যে পরিশোধ না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশনা আছে জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের।

গ্যাস বিপনন নীতিমালা ২০১৪ অনুযায়ী, সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া কোন প্রতিষ্ঠান এক বছরের মধ্যে সবগুলো শর্ত পুরণ করে পুন:সংযোগ নিতে ব্যার্থ হলে সেই সংযোগ স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন হিসেবে চিহ্নিত হবে।  পরবর্তিতে ওই গ্রাহক সংযোগ নিতে গেলে সম্পুর্ণ নতুন গ্রাহক হিসেবে চিহ্নিত হবেন। কিন্তু শামান্তার ক্ষেত্রে এসব নিয়মের কিছুই মানা হয়নি। সংযোগ বিচ্ছিন্নের প্রায় ২ বছর পর আদালতের একটি রায়কে পুঁজি করে প্রতিমাসে মাত্র ১০ লাখ টাকা করে দেয়ার শর্তে পুন:সংযোগ দিয়েছে কর্ণফূলী।

অথচ পেট্রোবাংলার সমন্ময় সভার সিন্ধান্ত মোতাবেক, কোন মামলায় হেরে গেলে আপিল করার পাশাপাশি পুরো বিষয়টি কোম্পানীর এমডি পেট্রোবাংলার বোর্ডকে জানাতে বাধ্য থাকবেন। কিন্তু শামান্তার কাছে মামলায় পরাজয়ের খবর বেমালুম চেপে গেছে কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ।  আপিলের পরিবর্তে আইনজীবীর একটি মতামত নিয়েই পুন:সংযোগ দেয়া হয়েছে সিএনজি পাম্পটিকে। যা পুরোপুরি অবৈধ বলছেন বিশ্লেষকরা।

বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানালেও আলাপকালে নিজেদের অনিয়মের কথা অকপটে স্বীকার করেন কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর এই মহা-ব্যবস্থাপক।

কেজিডিসিএল সুত্র জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের পর স্থায়ীভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও জামানতের টাকা সমন্ময় করার দায়িত্ব ছিলো ইঞ্জিনিয়ার ও সার্ভিসেস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক সারোয়ার আলম  আর উপমহাব্যবস্থাপক অনুপম দত্তের।  এছাড়া, উচ্চ আদালতে আপিল ও মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করার দায়িত্ব ছিলো কর্ণফূলীর এমডি প্রভঞ্জন বিশ্বাস ও বিপনন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক গৌতম চন্দ্র কুণ্ডুর।  কিন্তু কেউ তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেননি।