প্রায় ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনার ডুমুরিয়া নদী খননের যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল তা ভেস্তে গেছে
- আপডেট সময় : ০১:৪০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ ২০২১
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
মাত্র দেড় বছর আগে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনার ডুমুরিয়া নদী খননের যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল তা ভেস্তে গেছে। এমনটাই দাবি করেছেন এলাকাবাসী। এতে পানি সংকটে সেচনির্ভর কৃষিকাজও হুমকির সম্মুখীন হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বাঁধ কেটে দেয়ার কারণে পানির সাথে পলি এসে নদী ভরাট হয়ে গেছে,কারিগরি কমিটি গঠন করে সমস্যার সমাধান করা হবে।
ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা-শালতা নদী ঘিরে ১৫ বছর আগেও হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা চলতো। কিন্তু কালের বিবর্তমানে ও নানা প্রতিকুলতার মুখে ভদ্রা ও শালতা নদীতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পলি পড়ে নাব্যতা হারিয়ে ভরাট হয়ে গেছে। প্রভাবশালীরা যে যার মত করে নদী দখল করে নেয়।ফলে ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনের পথও স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে শালতা ও ভদ্রা নদী খনন শুরু হয়। ১২০ ফুট গভীরতা এবং ১২ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত খননের কথা থাকলেও সব জায়গায় এ নিয়ম অনুসরণ না করেই নদী খনন করা হয়। নদী থেকে মাটি উত্তোলন করে দু’পাশে রেখে দেয়ায় বর্ষা মৌসুমে মাটি ধুয়ে আবার নদীতে এসে পড়ে। নদী দু’টিতে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি স্লুইসগেট তৈরীর কথা থাকলেও স্লুইস গেট না করেই কাজ সমাপ্ত করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পরে দুই প্রান্তের বাঁধ কেটে দেয়ায় জোয়ার-ভাটায় মাত্র দেড় বছরই পলিতে নদী ফের ভরাট হয়ে যায়।ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী খননের যে আসল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তা ভেস্তে গেছে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
আর কৃষি কর্মকর্তা বললেন, পানির ওপর নির্ভর করে সেচের মাধ্যমে নদীর পাশের হাজার হাজার বিঘা বিল ও জমিতে ফসল ফলানো হতো। কিন্তু এখন পানি সংকটে সেচনির্ভর কৃষিকাজও হুমকির সম্মুখীন হবে।
নদীর নাব্যতা কমে যাওয়া ও নদীর দুই তীরে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি হওয়ার কারণে নদী সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে।এছাড়া নদীর আপস্ট্রিম ফোলে না থাকায় পদ্মা থেকে গড়াই নদী হয়ে পানি আসার কথা কিন্তু সেই ধরনের ডিসচার্জ না থাকায় নদীর স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্থ হয়ে পানি আসছে তাই পলি পরে নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে বলছেন,পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী খনন করে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ সৃষ্টি করা ও জলের আধার তৈরি করে, ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়া নদী আবারো পুনঃখনন চায় এলাকাবাসী।