প্রায় ১৪ হাজার ভোটার কমেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায়
- আপডেট সময় : ০২:১০:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২১
- / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
১০ মাসের ব্যবধানে ভোটার বৃদ্ধির পরিবর্তে প্রায় ১৪ হাজার ভোটার কমেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায়। নির্বাচন কর্মকর্তাদের দাবি, করোনায় কর্মসংস্থান হারিয়ে অনেকে শহর ছেড়ে যাওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ কমার পাশাপাশি ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়ায়ও হয়রানীর কারণে অনেকে নতুন ভোটার হতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এদিকে টিআইবি বলছে, একই তফসিলে দুই রকমের ভোটার তালিকায় বিভ্রান্তি বাড়বে।
গেল বছরের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ভোটগ্রহণের তারিখ দিয়ে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ওই সময় প্রার্থীদের কাছে মনোনয়ন পত্রের সাথে ভোটার তালিকার যে সিডি সরবরাহ করা হয়, তাতে ভোটারের সংখ্যা ছিলো উনিশ লাখ তিপ্পান্ন হাজারের কিছু বেশি। কিন্তু করোনার কারণে ভোটের একসপ্তাহ আগে নির্বাচন স্থগিত করে ইসি। ১০ মাস পর আগের তফসিল ঠিক রেখে শুধু ভোটগ্রহণের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকাও করা হয়েছে হালনাগাদ। কিন্তু স্বাভাবিক নিয়মে ভোটারের সংখ্যা বাড়ার পরিবর্তে কমেছে অনেক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কমে যাওয়ায় ভোটার হতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন নতুন ভোটাররা। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে উদ্যোগী হতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই। আর হালনাগাদ করা নতুন ভোটার তালিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে টিআইবির জাতীয় পরিষদের সদস্যের মতে একই তফসিলে দু’ ধরনের ভোটার তালিকা সন্দেহের পাশাপাশি বিভ্রান্তি ছড়াবে সবার মাঝে।
আগামী ২৭ জানুয়ারী দেশের সবচেয়ে বড়- এই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইভিএম পদ্ধতিতে। চারটি ওয়ার্ডে অংশ নেয়া কাউন্সিলর প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় এসব ওয়ার্ডে আলাদা তফসিল দেয়া হয়েছে। নতুন তফসিলে অংশ নেয়া প্রার্থীরা ছাড়া অন্যরা এখনো হালনাগাদ ভোটার তালিকার সিডি পাননি।