১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

প্রায় একযুগ ধরে মরা কপোতাক্ষের প্রভাবে কষ্টে দিন পার করছে বাকারচর এলাকার ১০ হাজার মানুষ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১
  • / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার রাড়–লী গ্রামে প্রায় একযুগ ধরে মরা কপোতাক্ষের প্রভাবে কষ্টে দিন পার করছে বাকারচর এলাকার ১০ হাজার মানুষ। বর্ষা মৌসুম এলেই তিন ফসলি ২ হাজার বিঘা জমি হয়ে ওঠে গলার ফাঁদ। এমন কী ঘর ছাড়তে হয় পুরনো কপোতাক্ষ পাড়ের বাসিন্দাদের। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেছে, কপোতাক্ষ খননের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তা বাস্তবায়ন হলে ওই এলাকার দুর্ভোগ কমে যাবে। আর স্থানীয় এমপি বললেন, জলাবদ্ধতার দূরীকরণে পানি নিষ্কাশনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

কপোতাক্ষ নদ ভরাটের ফলে পাইকগাছার বাড়–লী ইউনিয়নের বাকারচর এলাকায় ২০০৬ থেকে জলাবদ্ধতা শুরু হয়।ধীরে ধীরে তা ভয়াভয় রূপ নিয়েছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হলেও জলাবদ্ধতার শুরু হয়। এমন কী ছোটখাট বৃষ্টিতে মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। আগে এই এলাকায় ২ হাজার বিঘা জমিতে আমন ও বোরোসহ তিন ধরণের ফসল আবাদ হলেও এখন শুস্ক মৌসুমে বোরো আবাদ হয়।

জমির পানি অপসারণের জন্য প্রতিবিঘা জমিতে দেড়- দুহাজার টাকা খরচ হয়। তারপরও ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকদের লোকসানে পড়তে হয়।কপোতাক্ষ খনন বা পাইকগাছার ভবানীপুর-রাড়–লী গ্রামের মধ্য দিয়ে বোয়ালিয়া নদী পর্যন্ত পাকা ড্রেন নির্মাণ করলেও ১০ সহস্রাধকি শ্রমজীবী মানুষ সংকট থেকে বাঁচতে পারবে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।

কপোতাক্ষ নদ ভরাটের ফলে পাইকগাছার বাড়–লী ইউনিয়নের বাকারচর এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নদী খনন ছাড়া এই এলাকায় জলাবদ্ধতা দুরীকরণ করা সম্ভব নয় বলছেন, স্থানীয় উপজেলা চোয়ারম্যান।

আর স্থানীয় এমপি সমস্যার কথা স্বীকার করে বললেন, জলাবদ্ধতার কারণে এখানে কোন ফসল হচ্ছে না। তাই জলাবদ্ধতার দুরীকরণে ক্যানেল ও গেট তৈরী করে যাতে পানি নিষ্কাশন করা যায় সেই ব্যাপারে প্রকল্প গ্রহণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনার পাইকগাছা এলাকার সমস্যা নিরসনের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। ওই প্রকল্পে আশাশুনি-পাইকগাছার ৩০ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে।প্রকল্পটির দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।এটি বাস্তবায়ন হলে মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে বলে মনে করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কপোতাক্ষ নদ খনন করে জলাবদ্ধতার দুরীকরণ করলে এই অঞ্চলের ১০ সহস্রারাধিক শ্রমজীবী মানুষ এই সংকট থেকে বাঁচতে পারবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

প্রায় একযুগ ধরে মরা কপোতাক্ষের প্রভাবে কষ্টে দিন পার করছে বাকারচর এলাকার ১০ হাজার মানুষ

আপডেট সময় : ০১:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার রাড়–লী গ্রামে প্রায় একযুগ ধরে মরা কপোতাক্ষের প্রভাবে কষ্টে দিন পার করছে বাকারচর এলাকার ১০ হাজার মানুষ। বর্ষা মৌসুম এলেই তিন ফসলি ২ হাজার বিঘা জমি হয়ে ওঠে গলার ফাঁদ। এমন কী ঘর ছাড়তে হয় পুরনো কপোতাক্ষ পাড়ের বাসিন্দাদের। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেছে, কপোতাক্ষ খননের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তা বাস্তবায়ন হলে ওই এলাকার দুর্ভোগ কমে যাবে। আর স্থানীয় এমপি বললেন, জলাবদ্ধতার দূরীকরণে পানি নিষ্কাশনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

কপোতাক্ষ নদ ভরাটের ফলে পাইকগাছার বাড়–লী ইউনিয়নের বাকারচর এলাকায় ২০০৬ থেকে জলাবদ্ধতা শুরু হয়।ধীরে ধীরে তা ভয়াভয় রূপ নিয়েছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হলেও জলাবদ্ধতার শুরু হয়। এমন কী ছোটখাট বৃষ্টিতে মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। আগে এই এলাকায় ২ হাজার বিঘা জমিতে আমন ও বোরোসহ তিন ধরণের ফসল আবাদ হলেও এখন শুস্ক মৌসুমে বোরো আবাদ হয়।

জমির পানি অপসারণের জন্য প্রতিবিঘা জমিতে দেড়- দুহাজার টাকা খরচ হয়। তারপরও ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকদের লোকসানে পড়তে হয়।কপোতাক্ষ খনন বা পাইকগাছার ভবানীপুর-রাড়–লী গ্রামের মধ্য দিয়ে বোয়ালিয়া নদী পর্যন্ত পাকা ড্রেন নির্মাণ করলেও ১০ সহস্রাধকি শ্রমজীবী মানুষ সংকট থেকে বাঁচতে পারবে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।

কপোতাক্ষ নদ ভরাটের ফলে পাইকগাছার বাড়–লী ইউনিয়নের বাকারচর এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নদী খনন ছাড়া এই এলাকায় জলাবদ্ধতা দুরীকরণ করা সম্ভব নয় বলছেন, স্থানীয় উপজেলা চোয়ারম্যান।

আর স্থানীয় এমপি সমস্যার কথা স্বীকার করে বললেন, জলাবদ্ধতার কারণে এখানে কোন ফসল হচ্ছে না। তাই জলাবদ্ধতার দুরীকরণে ক্যানেল ও গেট তৈরী করে যাতে পানি নিষ্কাশন করা যায় সেই ব্যাপারে প্রকল্প গ্রহণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনার পাইকগাছা এলাকার সমস্যা নিরসনের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। ওই প্রকল্পে আশাশুনি-পাইকগাছার ৩০ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে।প্রকল্পটির দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।এটি বাস্তবায়ন হলে মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে বলে মনে করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কপোতাক্ষ নদ খনন করে জলাবদ্ধতার দুরীকরণ করলে এই অঞ্চলের ১০ সহস্রারাধিক শ্রমজীবী মানুষ এই সংকট থেকে বাঁচতে পারবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।