পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে চলছে গণনা
- আপডেট সময় : ০৫:৪৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে চলছে গণনা। এদিকে, নির্বাচনী সহিংসতায় চট্টগ্রামের পটিয়ায় কাউন্সিল প্রার্থীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। টাঙ্গাইলের কালীহাতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টায় ভোটাররা কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান।
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাই আবদুল মাবুদ। রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পটিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর দক্ষিণ গোবিন্দারখীল এলাকায় ভোটকেন্দ্রের বাইরে এ সংঘর্ষ হয়।
এদিকে, পটিয়ার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও অগ্নিসংযোগের পর দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে সেখান থেকে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর আগে পটিয়ার এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া যায়। এই ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ হয়।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে হাজী ইয়াছিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটরদের উপর হামলা চালিয়ে দখলে নেয়ার চেষ্টা করেছে একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক। এ ঘটনায় ভোটাররা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারা ভোটকেন্দ্র ছেড়ে চলে যান। ঘটনার পর ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। বর্তমানে ওই কেন্দ্রে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। ২ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি।সংঘর্ষের পর থেকে হরিপুরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে দুই মেয়রপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি বিনিময় হয়েছে। এতে মোহন নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। অপরদিকে ভোটারদের জোরপূর্বক নির্দিষ্ট প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করায় দুই এজেন্টকে আটক করেছে পুলিশ।
চতুর্থ ধাপে রোববার ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ভোট গ্রহণের সময় কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টকে প্রবেশে বাধা, পোলিং এজেন্ট বের করে দেয়া, ইভিএমে ভোট দেয়ার গোপন কক্ষে ভোটারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মী অবস্থান করাসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভোট কারচুপির অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম খান নির্বাচন বর্জন করেছে। একই তালিকায় আছেন কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এহসান কুফিয়া। নৌকায় ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক, এজেন্টদের মারধর ও কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভায় ধানের শীষের প্রার্থী সাহেদ আলী পটু ও লাঙলের প্রার্থী আলমগীর হোসেন ভোট বর্জন করেছেন। নির্বাচনের সময় ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বাগেরহাটের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী সাইদ নিয়াজ হোসেন শৈবাল। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন বয়কট করেছেন বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ইমাম হোসেন। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনর থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিএনপি মেয়র প্রার্থী শাহাজাহান কবির।