পানিতেই ভাগ্য খুলেছে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের
- আপডেট সময় : ০১:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫১৭ বার পড়া হয়েছে
পানিতেই ভাগ্য খুলেছে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের। ঢেপা নদীতে জলাধার নির্মাণের ফলে শুষ্ক মওসুমেও ফসলের চাষ হচ্ছে। কমবেশি সারা বছরই ফসল হওয়ায় উৎপাদনের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে এখন। জীববৈচিত্র্যেও ফিরেছে প্রাণ। এ বাঁধকে ঘিরে নানামুখী কর্মসংস্থান হয়েছে বহু মানুষেরই।
বীরগঞ্জ পৌর এলাকার বর্গাচাষী জগেশ চন্দ্র বর্মণ। সারাটা জীবন কেটেছে ঢেপা নদীর তীরে কৃষিকাজ করেই। তবে আগে এক ফসলের বেশি আবাদ হতো না জমিতে। কিন্তু এই সেচ প্রকল্পেই ভাগ্য ফিরেছে তার। এখন জমিতে সব সময়ই কোনো না কোনো ফসল থাকে তার।
বছরকে বছর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ভূ-উপরস্থ পানি সংরক্ষণে বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় নদী-খাল-বিল ড্রেজিং করে জলাধার নির্মাণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। এ ধরনের উদ্যোগের বড় দৃষ্টান্ত ঢেপা নদী সেচ প্রকল্প। আগে যেখানে পানির অভাবে তেমন ফসল হতো না। বিলুপ্ত হয়ে যায় দেশীয় মাছ। খরা মওসুমে পানি মিলতো না টিউবওয়েলেও। তবে এই প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদী সুফল পাচ্ছেন স্থানীয়রা।
ঢেপা ও ছোট ঢেপা নদীর মোহনায় জলাধার ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এই অবাকাঠামোটি নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রায় ২৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য জলাধারের এ অবকাঠামোটি রক্ষণাবেক্ষণে তেমন কোনো খরচও নেই। কেবল কৃষিকাজই নয়, নৌবিহার কিংবা পর্যটনের জন্যও এই প্রকল্পটি দৃষ্টি কেড়েছে স্থানীয়দের।