পদ্ম ফুল দেখতে প্রতিদিনই দেশি-বিদেশি হাজারও পর্যটক ভিড় করছে ভুতিয়ার বিলে
- আপডেট সময় : ০৩:৩২:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
পদ্ম ফুল দেখতে প্রতিদিনই দেশি-বিদেশি হাজারও পর্যটক ভিড় করছে খুলনার ভুতিয়ার বিলে। অথচ, বিনোদনপ্রেমীদের প্রিয় এই স্পট কয়েক হাজার কৃষকের অভিশাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানি নিষ্কাশনের পথ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে জলাবদ্ধ হয়ে রয়েছে এই বিল। একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পরও, তা কোনো কাজে আসেনি। স্থানীয়রা দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম করলেও, যথাযথ উদ্যোগ নেয়নি সরকার।
নীল আকাশের নিচে বিস্তীর্ণ জলাভূমি। চারদিকে শুধু থৈ থৈ পানি আর পানি। কোথাও কোথাও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে হোগলা বনের ঝার। মাঝ ধরার জাল নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন জেলে। সৌন্দর্য্যরে হাতছানি দিচ্ছে ভূতিয়ার বিলের রঙিন পদ্মফুল। দূর-দূরান্ত থেকে দলবেঁধে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসছেন অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
তাদের আনন্দ-উল্লাস দেখে, দূর থেকে মনের অজান্তেই বিষন্ন হয়ে উঠে দরিদ্র কৃষক-কৃষানিরা। দুই যুগ ধরে জলে ভাসছে তাদের রুটি-রুজির একমাত্র ভরসাস্থল। জলাবদ্ধতা নিরসনের নামে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্প। তাতে কেবল রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হয়েছে,সুফল পায়নি এলাকাবাসী।
বিলে ফসল না হওয়ায়, স্বচ্ছল গৃহস্থ পরিবারের মানুষও এখন দিনমজুর। নিজের থাকলেও, অন্যের জমিতে কাজ করে আর বিল থেকে মাছ ধরে কোনোরকমে সংসার চালায় এই অঞ্চলের হাজারো মানুষ।
উপজেলা প্রশাসন বলছে, ভুতিয়ার বিলে অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলার কাজ করছে,সরকার। পর্যটনের বিষয়টিও পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৯৯২-৯৩ অর্থ বছরে প্রায় ১১ কোটি ও ২০১২ থেকে গত আট বছরে প্রায় তিন’শ কোটি টাকা ব্যয়ে খাল ও নদী খনন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ বিলের পানি নিষ্কাশনে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত আরও দুটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্ত তাতেও ভূতিয়ার বিলে শতভাগ জলাবদ্ধতা নিসরন হবে কিনা, তা নিশ্চিত করতে পারছেনা তারা।