নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, বিভিন্ন জেলায় দুর্ভোগে হাজারো মানুষ
- আপডেট সময় : ০৯:১১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫০৩ বার পড়া হয়েছে
উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন জেলায় বেড়েছে যমুনা নদীর পানি। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন চর ও নিম্নাঞ্চলের হাজারো মানুষ। অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবারের তীব্র সংকট।
উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণে গেল ২৪ ঘন্টায় টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সাথে বিভিন্ন এলকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ভাঙনে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ভূঞাপুর ও বাসাইলের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের শতাধিক বসতভিটা, মসজিদ, বাঁধসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে পানি ঢুকে পড়েছে। একইভাবে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রসহ শাখা নদীগুলোর পানিও।
মাদারীপুরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদে পানি বৃদ্ধির সাথে তীব্র আকার ধারণ করেছে নদী ভাঙ্গন।নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বসতভিটা ও ফসলি জমি।
গত ২৪ ঘন্টায় মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি আরিচা পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদ সীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিদিন জেলার অভন্তরীণ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্মঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি সামান্য কমে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সামান্য কমেছে তিস্তাসহ অন্যান্য নদীর পানিও। এতে করে পানিবন্দি জীবন যাপন করছে অন্তত: ৩০ হাজার মানুষ। এদিকে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে নদ-নদীর অববাহিকাসহ নীচু এলাকায় ১০ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ও ৮৫ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত।
কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা নদীর পানি বেড়েছে।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করেছে।