নতুন সময় সূচিতে প্রথম দিন অফিস করলো সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। আদালত, ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানও নিজস্ব নতুন সময়সূচিতে কাজ করেছে। নতুন ব্যবস্থাপনায় কতোটা বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে, তা দেখতে এক সপ্তাহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করা হবে। এতে জনসেবায় কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না বলে সচিবালয়ে জানান মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা। মধ্যরাত থেকে সেচের জন্য আগামী ১৫ দিন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিতের কথাও জানান তারা।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় এবং যানজট নিরসনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নতুন সময়সুচিতে শুরু হয়েছে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত অফিস।

প্রথম দিন, সকাল থেকে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে থাকেন মন্ত্রী, সচিবসহ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। এসময় বেশিরভাগ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও, সমস্যার কথা জানান কেউ কেউ।

মন্ত্রিদের মধ্যে সবার আগে কর্মস্থলে আসেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বলেন, কর্মঘণ্টা কমলেও সেবা কমবে না।

আর বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের আভাস দিয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন সময়সুচি হওয়ায় পিক আওয়ারের পরিবর্তন হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করা হবে।

সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপ্রয়োজনে কেউ বিদ্যুৎ খরচ না করলে, অফিসের সময়সূচি একঘণ্টা এগিয়ে নিয়ে আসার পদক্ষেপ ফলপ্রসূ হবে।

সচিবালয়ের বাইরে আদালতেও নিজস্ব নতুন সময়সূচিতে বিচারিক কর্যক্রম শুরু হয়েছে।

ব্যাংকপাড়া খ্যাত মতিঝিলে নতুন সময়সূচি মেনে ব্যাংক বীমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠাগুলোর কার্যক্রম পরিচালিত হয়।