দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করেও নাব্যতা ফিরেনি কুষ্টিয়ার গড়াই নদীতে
- আপডেট সময় : ০৫:১৬:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
অপরিকল্পিত ড্রেজিংয়ের পেছনে গত ৬ বছরে দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করেও নাব্যতা ফিরেনি কুষ্টিয়ার গড়াই নদীতে। নদীর বালি নদীতে ফেলায় এই দুর্দশা। অপচয় হচ্ছে সরকারী অর্থের। শুষ্ক মৌসুমের আগেই নদী শুকিয়ে চৌচির। মাছ-পানি শূন্য নদী তীরবর্তি মানুষ ভূগর্ভস্থ পানির সংকটসহ নানা আশংকায়।সুন্দরবন রক্ষায় একমাত্র নদীর নাব্য হারানোয় হুমকির মুখে দক্ষিণাঞ্চলের জীব বৈচিত্র্য। অপরদিকে ভারতের সাথে চুক্তি অনুযায়ী পানি সঠিক সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না।
উজান থেকে নেমে আসা বালি ও পলি মাটি জমে দুই যুগ আগে গড়াই নদীতে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়েছিল। নদীকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে ১৯৯৮ সালে প্রথম এ নদী পুনরুদ্ধাদ্ধারে ৪’শ কোটি ও ২০১০-১১ অর্থ বছর থেকে ৯৪২ কোটি টাকাসহ মোট প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেজিং প্রকল্প চলছে। নদীর বালি নদীতে ফেলা ও অপরিকল্পতি ড্রেজিং, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে গড়াই খননে কোন সুফল আসছে না।
শুষ্ক মৌসুম না আসতেই নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে দিন দিন মাছ ও জীব বৈচিত্র্য সংকট দেখা দিচ্ছে মারাত্মক ভাবে। নানা রকম হাতাশায় পড়েছেন নদী তীরবর্তি এলাকার মানুষ ও পরিবেশ।পরিবেশবিদদের মতে, পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রভ সুন্দরবনকে রক্ষা ও ও উপকুলভাগে নোনা পানির আগ্রাসন রুখতে সারা বছর মিঠা পানির অন্যতম আধার এই গড়াই নদীকে রক্ষা করা জরুরী। তা না হলে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে দেশের দক্ষিণাঞ্চল।
৬ দফায় ড্রেজিং প্রকল্প চলার পরও এ বছর শীতকাল শেষ হওয়ার আগেই গড়াই শুকিয়ে গেছে। নদীর বুক জুড়ে এখন ধু ধু বালু চর। তালবাড়িয়ায় নদীর উৎসমুখ বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে বিস্তীর্ণ বালুর স্তুপ জমেছে। এর পরও এ বছরও ড্রেজিংর মাধ্যমে গড়াই নদী থেকে ৯শ ৯৫ ঘণফুট বালু উত্তোলনের জন্য কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী শুষ্ক মৌসুমে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি বাংলাদেশ পাবে। বাস্তবে কত টুকো হচ্ছে তা নিয়ে সংশয় থাকলেও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পানি পাওয়া যাচ্ছে। জানালেন কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই নির্বাহী প্রকৌশলী।