দেশের ৯ জেলায় জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৯ জনের মৃত্যু
- আপডেট সময় : ০৭:২৯:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫১২ বার পড়া হয়েছে
জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনা উপসর্গ নিয়ে বগুড়া, গাইবান্ধা, নোয়াখালী, গোপালগঞ্জ, খুলনা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, বরিশাল ও বেনাপোলে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবার নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়াও মৃতদের বাড়ীসহ আশপাশের সব বাড়ি লকডাউন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার বেতগাড়িতে গতরাতে মোহাম্মাদ আলী নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। অন্যদিকে, বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে করোনা পজেটিভ এক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে গতরাতে রাশিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান জানান, কৃষক রাশিদুল ইসলাম ক’দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ করোনা উপসর্গে ভুগছিলেন।
নোয়াখালী চাটখিলে করোনা উপসর্গ নিয়ে ফিরোজা বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ফিরোজা বেগমের বাড়ি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে। গেলরাত সাড়ে এগারোটায় দিকে জ্বর-কাশি ও শ্বাসকষ্টে তিনি মারা যান।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনা উপসর্গে সায়মা আক্তার নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সকালে উপজেলার গিমাডাঙ্গা উত্তরপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে ওই শিশুটি মারা যায়। তার পিতা নূর ইসলাম শেখ ৭/৮ দিন আগে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে। এরপর থেকেই শিশুটি জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলো।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা এক গৃহবধূ করোনার উপসর্গে মৃত্যু হয়েছে। তিনি জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গতরাতে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালের আইসোলেশনে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ৫৫ বছর বয়সী একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের সাগরিকা এলাকার বাসিন্দা। সিভিল সার্জন ডাক্তার ফজলে রাব্বি জানান, শনিবার বিকেলে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর আজ সকালে তিনি মারা যান। এসময় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির গুগড়াছড়িতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় এক গার্মেন্টস কর্মীর জ্বর, পেট ব্যথা ও পাতলা পায়খানার পর মৃত্যু হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আম্রো মারমা জানান, সকালে এ.কে. পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উষাপ্রু মারমার মৃত্যু হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। শনিবার ঢাকা থেকে পাঁচ গার্মেন্টস কর্মী এলাকায় গেলে তাদের ওই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সৌলা গ্রামে। শ্বাসকস্ট নিয়ে শনিবার রাতে সে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
বেনাপোলে ডায়রিয়া, বমি ও নিউমোনিয়ায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তিনদিন আগে এক ব্যক্তির দু’ মেয়ের জ্বর, সর্দি কাশি হলেও ভয়ে তিনি বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে স্থানীয় হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা দেন। একজনের অবস্থার অবনতি হলে রাতে যশোর হাসপাতালে নেয়ার পথে শিশুটি মারা যায়। পরে মনিরামপুরের গ্রামের বাড়িতে তাকে গোপনে মাটি দেয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। উপজেলা প্রশাসন তার বাড়ীটি লকডাউন করেছে।