দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি
- আপডেট সময় : ১২:১০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০২০
- / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রাম, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। একই সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদীভাঙ্গন।
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি সামান্য কমলেও জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। ৪ সপ্তাহ ধরে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্রায় আড়াই শতাধিক চরাঞ্চলের ৩ লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে দ্বিগুন। হাতে কাজ ও ঘরে খাবার না থাকায় চরম খাদ্য সংকটে পড়েছেন তারা। প্রকট হয়ে উঠছে শিশু ও গো খাদ্যের সংকট।
সিরাজগঞ্জে যমুনা পানি কিছুটা কমলেও বিপদসীমার এখনো অনেক উপর দিয়েই বইছে যমুনার পানি। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্হিতির কোন উন্নতি না হয়ে যেমন ছিলো,তেমনি রয়ে গেছে।এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে মুষলধারে নামা অতি বৃষ্টি দুর্ভোগ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বন্যার্তদের।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল আর টানা ভারী বর্ষণে জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় ৫৯টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সকালে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমলেও বাড়ছে ব্রক্ষ্মপূত্র,ঝিনাই নদীর পানি।
টানা বৃষ্টিতে দিনাজপুরে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জেলার প্রধান তিনটি নদী অত্রাই,ছোট যমুনা করতোয়াসহ ১৯টি নদীর পানি বাড়ায় তলিতে জেলা প্রায় দেড় হাজার হেক্টর আমনের বীজতলা।বীজতলা রক্ষায় নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জেলার ১৩টি উপজেলার কৃষকরা।
নেত্রকোণায় আবারও টানা বৃষ্টিপাতে জেলার বিভিন্ন নদীর নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলার উব্দাখালী, কংস, ধনু, সোমেশ্বরীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে জেলার ১০ উপজেলার কয়েকহাজার মানুষ এখনও পানিবন্দি রয়েছে।
মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৬৮ সেনিটমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এতে প্রতিদিনই নতুন নুতন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এখনো পানি বন্দি রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
মাদারীপুরের শিবচরে গত তিন দিন ধরে আবারো পানি বাড়ায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়াও ৪ শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
গাইবান্ধার পাঁচ উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বাড়িঘরে এখনও হাঁটু পানি থেকে কোমর পানি থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন চরাঞ্চলের দেড় লাখ মানুষ। দ্বিতীয় দফার বন্যায় নদী ভাঙনে ফুলছড়ি উপজেলার তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
পাবনায় কিছুটা কমতে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি। বাড়ছে পদ্মাসহ বিভিন্ন নদ নদীর পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সকালে যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমে নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপদ সীমার ৬১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর পদ্মা নদীর পানি কিছুটা বেড়ে পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে বিপদ সীমার মাত্র ০.৮৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।