দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা দুর্গত এলাকায় নদী ভাঙ্গন এবং খাবার সংকট
- আপডেট সময় : ০৫:০৫:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার খানিকটা পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নদী তীরবর্তী এলাকায় তীব্র ভাঙ্গন এবং খাবার সংকটে রয়েছেন দুর্গতরা। সরকারি ও বেসরকারিভাবে সহযোগীতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন বানভাসি মানুষের।
দীর্ঘদিন পরে ফরিদপুরে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বেড়েছে দুর্ভোগ। এখনো জেলার প্রায় দেড় শতাধিক গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি আছেন। সরকারি ও বেসরকারিভাবে সহযোগীতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছে বানভাসি মানুষ।
মাদারীপুরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি।
সিরাজগঞ্জে নদ-নদীর পানি কিছুটা কমলেও ভোগান্তি কমেনি জেলার কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরসহ ৭টি উপজেলার এ লক্ষাধিক মানুষের।
টাঙ্গাইলে যমুনাসহ সকল নদ-নদীর পানি কমলেও এখনো বিপদসীমার উপর দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার কালিহাতি, ভূঞাপুর, নাগরপুর, বাসাইল ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন।
মানিকগঞ্জে যমুনা নদীর পানি আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপদ সীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বেড়েছে আজও।
বগুড়ায় কমতে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি। একদিনে নদীর মথুড়াপাড়া পয়েন্টে পানি কমেছে ২৪ সেন্টিমিটার। তারপরও প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ফেনীর মুহুরীর নদীর বাঁধের দুই দিক দিয়ে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে ৫ গ্রাম। রবিবার রাতে জেলার ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর ও ঘনিয়ামোড়া দিয়ে পানি প্রবেশ করে লোকালয়ে। পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, গ্রামীণ সড়ক পুকুর ও বসত বাড়ী।