দুই দিনের ধর্মঘটে ১০ হাজার কন্টেইনারের জট বেড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে
- আপডেট সময় : ০২:৪৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
দুই দিনের পরিবহণ ধর্মঘটে ১০ হাজার কন্টেইনারের জট বেড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর ও ১৮ টি অফডকে। ৩৮ টি জাহাজ পণ্য নিয়ে অলস ভাসছে বহি:নোঙ্গরে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে অন্তত ৩ সপ্তাহ। আর অফডক মালিকরা বলছেন, নেতিবাচক এই কর্মসুচীর কারণে অন্তত ৫ হাজার রপ্তানীপণ্যবাহী কন্টেইনার সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছনো নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরী হয়েছে। এদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি, বন্দরকে অস্থিতিশীল করতে বড় কোন ষড়যন্ত্র হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে সরকারকে।
মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের ডাকা কর্মবিরতীতে মঙ্গলবার সকালে থেমে যায় পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও প্রাইম মুভারের চাকা। এতে স্থবির হয়ে পড়ে সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দর। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠকের পর বুধবার বিকেলে কর্মসুচী থেকে সরে আসে আন্দোলনরত সংগঠনগুলো। কিন্তু ততক্ষণে বন্দর ও অফডকে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র কন্টেইনার জট। জেটিতে কন্টেইনার ওঠানামা বন্ধ থাকায় বহিনোঙ্গোরেও বেড়েছে জাহাজের সারি।
এই কর্মসুচীতে সবচেয়ে বেশী ক্ষতির আশংকায় পড়েছে রপ্তানীমুখি পণ্য। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রপ্তানী পণ্যবাহী কন্টেইনার সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া হয়ে গন্তব্যে পাঠান রপ্তানীকারকরা। দুই দিনের সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরগুলোতে মাদার ভেসেল পাওয়া নিয়ে তৈরী হয়েছে অনিশ্চয়তা।
আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ব্যবসায়ীরা যখন ঘুরে দাঁড়াতে ব্যস্ত, এমন সময় এই কর্মসুচীতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জাতীয় অর্থনীতিতে।চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি গেইট দিয়ে দিনে অন্তত ৪ হাজার আমদানী পণ্যবাহী কন্টেইনার বেরিয়ে যায় দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে। বিপরীতে সমপরিমাণ কন্টেইনার জাহাজীকরণও হয় রপ্তানীর উদ্দেশ্যে। গেল দুই দিনের আন্দোলনে যা জমে আছে বন্দর ও অফডকগুলোতে।