দীর্ঘ লকডাউনে জাতীয় চিড়িয়াখানায় ৩৫০টির মতো প্রাণী জন্ম নিয়েছে
- আপডেট সময় : ০১:৫১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫১২ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ লকডাউনে জাতীয় চিড়িয়াখানায় ৩৫০টির মতো প্রাণী জন্ম নিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের পাখির পাশাপাশি জন্ম নিয়েছে চিত্রা হরিণ,জেব্রা,জলহস্তি,আফ্রিকান ঘোড়ার বাচ্চা। দুটি শাবক জন্ম দিয়েছে একটি বাঘিনী। তবে চিড়িয়াখানা উন্মুক্ত হওয়ায়, বাচ্চাগুলোর বেড়ে ওঠার দিকে যেন কোন সমস্যা না হয়, সে বিষয়ে নজর দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
করোনার কারণে প্রায় ৫ মাস বন্ধের পর ২৭ আগস্ট জন সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া জাতীয় চিড়িয়াখানা।মানুষের বিনোদনের খানিকটা ব্যঘাত ঘটলেও চিড়িয়াখানার বাসিন্দাদের দিয়েছে একধরনের স্বস্তি। যার সুফল এখন মিলেছে বিভিন্ন প্রাণী পরিবারে নতুন অতিথির আগমনের খবরে।বন্ধের এই সময়ে জন্ম নিয়েছে প্রায় ৩৫০ টি প্রাণী।
যার মধ্যে ময়ূর ১৩০টির বেশি, ইমু ২৩টি, বক ৮০টির মতো , রয়েছে পানকৌড়িও । চিত্রা হরিণ জন্ম নিয়েছে ৭০টির বেশি। জলহস্তীর বাচ্চা হয়েছে একটি। শ্রাবণ মাসে জন্ম হওয়ায় বাচ্চাটির নাম দেয়া হয়েছে শ্রাবন্তিকা।দুটি শাবক জন্ম দিয়েছে এক বাঘিনী। যাদের নাম দেয়া হয়েছে অবন্তিকা ও দুর্জয়। বাচ্চাগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে মূল তারের বেড়া থেকে কিছুটা দূরে সুউচ্চ আরেকটি তারের বেড়া দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকান ইম্পালা দুটি, তিনটি গাধা, জেব্রা দুটি, কমন ইলেনের একটি বাচ্চা ও আফ্রিকান হর্সের তিনটি বাচ্চার জন্ম হয়েছে বন্ধ থাকা এই সময়ে।
চিড়িয়াখানার কিউরেটর বলেন, বিধিনিষেধের সময় পরিবেশ ছিল নিরিবিলি, ।ভালো পরিমিত খাবার ও নিরিবিলি পরিবেশ প্রাণীগুলোর স্বাস্থ্যের উন্নতি করেছে। বেড়েছে প্রজনন ক্ষমতা।
করোনায় একঘেয়ে জীবনের খানিকটা অবসরে, অনেকেই ছুটছেন রাজধানীর জাতীয় চিড়িয়াখানায় । অনলাইন ক্লাস আর পরীক্ষা থেকে কিছুটা নির্ভার থাকতে শিশু কিশোররাও এসেছে অভিভাবকদের সাথে। চিড়িয়াখানার এসব নতুন অতিথীদের নিয়ে উচ্ছসিত দর্শনার্থীরাও।
বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শাবকগুলোর প্রতি অতিরিক্ত যত্ন নেয়ার পরামর্শ তাদের।
তারা বলছেন, চিড়িয়াখানাকে আন্তর্জাতিক মানের তৈরি করতে করতে, পরিচালনা আর পরিকল্পনায় আনতে হবে নতুনত্ব।