দিনাজপুরে আরো একটি নতুন খনির অবস্থান নিশ্চিত করতে খনন কার্যক্রম শুরু
- আপডেট সময় : ০৮:১৭:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মার্চ ২০২১
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
দিনাজপুরে আরো একটি নতুন খনির অবস্থান নিশ্চিত করতে খনন কার্যক্রম শুরু করছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর। আগামী ৪ মাস চলবে এই কার্যক্রম, তারপরই নিশ্চিত হওয়া যাবে খনিতে থাকা সম্ভাব্য লৌহ সম্পদের বিবরণ। এসব সম্পদ তোলার ব্যয় ও প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত হলে জেলায় খনির সংখ্যা দাঁড়াবে ৬টিতে।
খনিজ সম্পদের অপার সম্ভাবনার জেলা হিসাবে এরই মধ্যে দিনাজপুর জেলার নাম আলোচনার শীর্ষে। এই জেলায় রয়েছে দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল কয়লা খনি- বড়পুকুরিয়া। পাশাপাশি রয়েছে ফুলবাড়ী ও দীঘিপাড়া কয়লাখনি এবং মধ্যপাড়া ভুগর্ভস্থ পাথরখনি। এছাড়াও জেলার হাকিমপুরে সন্ধান মিলেছে লোহার খনির। বাস্তবতা যখন এমন, ঠিক তখনি জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার কেশবপুর এলাকায় লৌহ খনির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর- জিএসবি। এই খবরে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উচ্ছাস। তবে খনি হলে ক্ষতি হবে বাড়ীঘর ও আবাদি জমির। তাই উপযুক্ত ক্ষতিপুরণের পাশাপাশি কর্মসংস্থানে স্থানীয়দের যুক্ত করার দাবী এলাকাবাসীর।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে কুপ খননের কাজ উদ্বোধনের কথা জানিয়েছে জিএসবি’র সংশ্লিষ্টরা। যদিও ক্যামেরার সামনে কথা বলেননি তারা। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া খনির অস্তিত্ব ও কার্যক্রমের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের এই কর্মকর্তা বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করবে।এ বিষয়ে তিনি বেশ কিছু নির্দেশনা পেয়েছেন বলে জানান। নির্দেশনায় কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা, তথ্য ও উপাত্ত সরবরাহ, আনুসাঙ্গিক সহায়তা ও অনুমতি প্রদানের কথা বলা হয়েছে।
ওই এলাকায় জিডিএইচ ৭৬/২১ কুপ খনন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য আগামী ৪ মাসে মন্ত্রণালয়ের ৫ জন কর্মকর্তা ভ্রমণ ও অবস্থান করবেন। তাদের তদারকিতেই এই কাজ চলবে বলে জানিয়েছে জিএসপি।