তিন দফা বন্যায় সিলেটে ঈদ আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে
- আপডেট সময় : ০৪:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুলাই ২০২২
- / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
তিন দফা বন্যায় সিলেটে ঈদ আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে বন্যার্ত মানুষের। পানি কমে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও, বহু মানুষ এখনও আশ্রয় কেন্দ্রে। বাড়ি ফেরা নিয়ে এখনও অনিশ্চিতায় তারা। সুরমা, কুশিয়ারা নদীর পানি আলাদা তিনটি স্থানে এখনও বিপদসীমার উপর। তলিয়ে গেছে কুশিয়ারা তীরের সিলেট ও মৌলভীবাজারের নিম্নাঞ্চল। কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।
সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার বানভাসিদের মধ্যে এবার ঈদের আনন্দ নেই। ১৫ জুন থেকে শুরু হওয়া বন্যায় বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় মানুষ আশ্রয় কেন্দ্র উঠে। বানের পানি নামতে শুরু করলেও বাড়ি-ঘর এখনও পানির নিচে থাকায় অধিকাংশ মানুষ বাড়ি ফিরতে পারেননি। আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ নেই। যারা বাড়ি-ঘরে ফিরেছেন তারা ঘর-বাড়ি পরিস্কার করছেন। ধোয়ামোছা করছেন আসবাবপত্র। অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাই নুন আনতে পান্থা ফুরায় অবস্থার মধ্যে ঈদের আনন্দ কারো নেই।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগরসহ ৭টি উপজেলা ও মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখাসহ ৪টি উপজেলার ২০টির বেশি ইউনিয়ন এখন বন্যা কবলিত রয়েছে। কয়েক দিন পানি কিছুটা কমেছে। হাকালুকি হাওর ও কাউয়াদিঘি হাওরের তীরবর্তী এলাকা এখনও ডুবে রয়েছে। রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত।
কুশিয়ারা নদীতে এখনও পানি বেশি। এ কারণে হাওরের পানি ধীরগতিতে কমছে। ফলে দুই উপজেলায় প্লাবিত এলাকা থেকে পানি নামছে না।
মৌলভীবাজারের প্রশাসক কার্যালয় জানিয়েছে, বন্যায় মৌলভীবাজারে ৭টি উপজেলা ও ৪১টি ইউনিয়নের ৬০ হাজার ১১টি পরিবারের ২ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ সদস্য ক্ষতির মুখে পড়েছে। ১৪ হাজার ৩০৯টি ঘরবাড়ি ও ৪ হাজার ৬৮০ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। তাদের জন্য ৪৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। দ্রুত বন্যার উন্নতি ঘটবে, সিলেট ও মৌলভীবাজারে ফিরবে স্বাভাবিক পরিবেশ এমনটা প্রত্যাশা মানুষের।