তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৮:৫২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫১৭ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর গুলশানে তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান- বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। গেল রাতে রাজধানীর অভিজাত এলাকা- গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়া নামের কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বসুন্ধরার এমডিকে আসামী করে মামলা করে তরুণীর পরিবার।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর অভিজাত গুলশান এলাকার ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বরের বাড়ীর ফ্ল্যাট বি-৩ এর ভাড়াটিয়া মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় হত্যা প্ররোচনায় মামলা দায়ের করে নিহতের বড় বোন নুসরাত জাহান। তবে, মামলায় একমাত্র আসামী করা হয় বসুন্ধুরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে। এরপরই তরুণীর সঙ্গে তার মোবাইলে কথোপকথন ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
গুলশানের ১২০ নম্বরের সড়কে ভাড়ায় নেয়া বাসাটির মাসিক এক লাখ টাকা ভাড়া পরিশোধ করতো সায়েম সোবহান আনভীর। তবে, মাঝে মাঝে এ বাসায় যাতায়াত করতো সে।
এ ঘটনায় নিহতের স্বজনদের দাবি, প্রলোভন দেখিয়ে ২ মাস আগে ঢাকায় এনে মুনিয়াকে হত্যার অভিযোগ করেন তারা।
মামলার আসামী যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মামলা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে জানিয়ে ডিসি সুদীপ জানান, ভিকটিমের পরিবারকে সর্বোচ্চ আইনী সহায়তা দিতে কাজ করছে পুলিশ।
ঢাকা মেডিকেলে ময়না তদন্তের গ্রামের বাড়ী কুমিল্লায় নেয়া হয় মুনিয়ার মরদেহ।