দু’দিনের সফরে ঢাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন উজবেকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী জামসেদ খোদজায়েভ। ৩৯ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল নিয়ে সকালে ঢাকায় পৌঁছান তিনি। বিকেলে দ্বিপক্ষীয় ইস্যুতে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে। এ সময় দু’দেশের মধ্যে দ্বৈত কর পরিহার, কূটনীতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতিসহ বেশ কয়েকটি চুক্তি সই হয়।

দু’দিনের সফরের প্রথম দিন ঢাকায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন উজবেকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী জামসেদ খোদজায়েভ। বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে কুটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধিসহ ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, শিল্প, আইসিটিসহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রনালয়ের সাথে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সাথে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো নিয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে দু’দেশের মধ্যে।

বাংলাদেশ থেকে আইটি বিশেষজ্ঞ এবং মোবাইলের মাধ্যেমের সেবা গ্রহাণের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জামসেদ খোদজায়েভ।

এ সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর নিয়েও কথা বলেন এ কে আবদুল মোমেন।

আরও কয়েটি রাষ্ট্রিয় বৈঠক শেষে শনিবার ঢাকা ছেড়ে যাবেন উজবেকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী।

উজবেকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল এবং দূতাবাস চালুর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সকালে ঢাকার একটি হোটেলে উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী জামশেদ খোদজায়েভের সাথে আলোচনা শেষে এ কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী জানান, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং সার আমদানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরে সমসাময়িক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, এ বছরের শেষ দিকে ডলার সংকট নিরসন হবে।

ঢাকায় সফররত উজবেকিস্থানের উপ-প্রধানমন্ত্রী জামশেদ খোদজায়েভের সাথে রাজধানীর একটি হোটেলে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে বৈঠক করেন বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, দেশটি থেকে জ্বালানি আমদানির বিষয়ে কোন আলোচনা না হলেও সার নিয়ে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

পরে, উজবেকিস্থানের উপ প্রধানমন্ত্রী সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এক সাথে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়েছেন জামশেদ খোদজায়েভ।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক জানান, দু’দেশের তথ্য প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগের সম্ভবনা রয়েছে। দেশের হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে উজবেকিস্তান।

দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রীর এ সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।