ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পদে পদে ভোগান্তি, দুর্নীতির আতুরঘর বিআরটিএ
- আপডেট সময় : ০২:১৬:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫১৭ বার পড়া হয়েছে
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পদে পদে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবা প্রত্যাশীরা। দালাল আর ঘুষ ছাড়া বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি- বিআরটিএ থেকে এ লাইসেন্স পাওয়ার কোন নজির নেই। এম রকির ২ পর্বের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের আজ থাকছে প্রথম পর্ব।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির পরেও বিআরটিএ’র অফিসগুলো এখনো দুর্নীতির আতুরঘর। সরকার নির্ধারিত ফি দিয়ে বিআরটিএতে কোন কাজ করাতে গেলে ঘুরতে হয় মাসের পর মাস। আবার ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে গুনতে হয় জরিমানা।
উত্তরা দিয়াবাড়ি বিআরটিএ অফিসে ভাড়ায় চালিত গাড়ি দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা। এজন্য প্রতিজনের কাছ থেকে রশিদ ছাড়াই আদায় করা হচ্ছে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা। প্রতিদিন অন্তত ৫ শতাধিক মানুষ আসে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষা দিতে। সে হিসেবে বছরে কয়েক কোটি টাকা জমা হওয়ার কথা সরকারি কোষাগারে। অথচ বছরের পর বছর ধরে এই অর্থ যাচ্ছে দালাল চক্রের পকেটে। আবার গাড়িভাড়া কে নিয়েছে তাও কেউ জানে না। লাইসেন্স প্রার্থীরা ড্রাইভিং পরীক্ষা দিয়ে নামার পর সেখানে উপস্থিত দালালকেও দিতে হয় আরেক দফা বকশিশ।
টাকার ভাগ সবাই নিলেও প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির দায় নিতে চায় না কেউ। অনিয়মের বিষয়ে মোটরযান পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ এসএ টিভিকে জানান, বিআরটিএ উত্তরা অফিসে শুরু থেকেই গাড়িভাড়া নিয়ে প্রশিক্ষনের কাজ চলছে।
অহরহ অভিযোগ রয়েছে, ৩/৪ গুণ বেশী টাকা না দিলে লাইসেন্স মেলে না। সরকারি নিয়ম মেনে ফি জমা দিয়েও ঘুরতে হয় মাসের পর মাস। ফলে বিপাকে পরিবহন মালিক থেকে সাধারণ লাইসেন্স প্রার্থীরা।
দায়িত্বরত সহকারি পরিচালক মাহফুজুর রশিদ দেখালেন এক দায়সারা রসিদ। প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দেখার দায়িত্ব তার নয় বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনিয়মের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রমান সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান বিআরটিএ’র রোড-সেফটি পরিচালক।
যুগের পর যুগ ধরে অনিয়মে জর্জরিত বিআরটিএ’র সেবার মান ঠেকেছে তলানিতে। এতে একদিকে হচ্ছে টাকার শ্রাদ্ধ, অন্যদিকে বেড়েছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি।