ডুবন্ত ১৫ জাহাজ ঝুঁকিপুর্ণ করে তুলেছে পুরো আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য
- আপডেট সময় : ০২:১৯:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়ছে আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য ও নৌপথে অভ্যন্তরীণ পণ্য পরিবহন। চট্টগ্রাম বন্দরের বহিনোঙ্গরে ৯টি আর সন্দ্বীপ ও ভাসানচর চ্যানেলে আরো ৬ টি ডুবন্ত জাহাজ এর জন্য দায়ী করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন পর বহি:নোঙ্গর থেকে ডুবন্ত জাহাজগুলো উদ্ধার প্রক্রিয়ার নিয়ে কথা বলা হচ্ছে । কিন্তু চ্যানেলগুলো থেকে জাহাজ উদ্ধারে এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়নি বিআইডব্লিউটিএ।
দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় বছরে অন্তত ১০ টি লাইটার ও বাল্কহেড ডুবে যায় সাগরে। যার কোনটি উদ্ধার হয় আবার কোনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে মালিক কর্তৃপক্ষ। এমন আন্ত ১৫ টি ডুবন্ত জাহাজ এখন ঝুঁকিপুর্ণ করে তুলেছে বহিনোঙ্গরসহ পুরো বন্দর নৌরুটকে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দর সীমানায় এমন ৯ টি জাহাজ ডুবে আছে ৩০ থেকে ৩৫ বছর ধরে। যা উদ্ধারে এখন সম্ভ্যাবতা যাচাইয়ে পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । তাদের মতামতের ওপর ভিত্তি করে নেয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।
বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে এমন ৬ টি ডুবন্ত জাহাজ আছে। যা উদ্ধারে আন্তরিকতা থাকলেও উত্তাল সাগরের কারণে এই মুহুর্তে সম্ভব হচ্ছে না।
চলতি বছরের জুলাই মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম নৌরুটে একটি ডুবন্ত জাহাজে ধাক্কা লেগে ৫ দিনের ব্যবধানে ডুবে যায় তিনটি পণ্যবাহী লাইটার জাহাজ। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ ডুবন্ত জাহাজে বয়া-বিকন লাগিয়ে ঝুঁকিপুর্ণ এলাকা চিহ্নিত না করায় প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটে।