‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপায়নের এক অনন্য উচ্চতায় প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। স্বপ্ন এখন পুরোপুরি দৃশ্যমান। দেশের প্রায় প্রতিটি কর্মকাণ্ডে লেগেছে অনলাইনের ছোঁয়া। সরকারি প্রায় সব সেবাই এখন অনলাইন নির্ভর। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতেই দেশে চালু হতে যাচ্ছে পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা- ফাইভজি। আর এ বছরের মধ্যেই সারাদেশকে ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাকালে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করছে বাংলাদেশ।

২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর এর এই ঘোষণা, বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার। করোনার এই সংকটে পুরো বিশ্ব যখন বিচ্ছিন্ন আর ঘরবন্দী তখন ডিজিটাল প্লাটফর্মেই চলছে ব্যক্তিক যোগাযোগ থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, সব কিছু। সেই মিছিলের প্রথম কাতারের জোড়ালো অবস্থান জানান দিয়েছে বাংলাদেশ।

অতিমারীর এই কালে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সারাদেশের সাথে যুক্ত হয়ে তদারকি করছেন উন্নয়ন প্রকল্প, প্রনোদনা আর ত্রাণ কার্যক্রম। ভিডিও কনফারেন্সে চলছে মন্ত্রিপরিষদ, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠক থেকে সরকারী সব কাজ। থেমে নেই আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাথে যোগাযোগ, সরকারি ও জাতীয় নানা জরুরী অনুষ্ঠান।

এমনকি ১৭ কোটি মোবাইল গ্রাহক প্রযুক্তির মাধ্যমে নিমিষেই জানতে পারছে সরকারী নির্দেশনা। সরকারি আর্থিক প্রনোদনার টাকা চলে যাচ্ছে মোবাইলে। করোনার গতিবিধি জানতে , করোনা টেস্টের রিপোর্ট বা ভ্যাক্সিনের রেজিস্ট্রেশনও হচ্ছে অনলাইনে। করোনায় বিচ্ছিন্ন মানুষ সামাজিকতাও সারছেন ডিজিটাল মাধ্যমে।

মহামারীর বিধিনিষেধে অনেক সময় বন্ধ ছিল দোকান ও শপিংমল। এছাড়া ভীড় এড়াতে বেশিরভাগ মানুষই প্রয়োজন মেটাচ্ছেন অনলাইনে বা ই কমার্সের মাধ্যমে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ শক্তিশালী নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল অগ্রগতীর ফলেই।