১২:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

দিনে দু’বার জোয়ারের পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছেন চট্টগ্রামের নিচু এলাকার কয়েক লাখ মানুষ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৫০৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত তিন দিন ধরে দিনে দু’বার জোয়ারের পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছেন চট্টগ্রামের নিচু এলাকার কয়েক লাখ মানুষ। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে শত কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জলাবদ্ধতা নিরসনে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করায় একযুগেরও বেশি সময় ধরে বর্ষাকালে এমন দুর্ভোগের সম্মুখিন হচ্ছেন তারা। আর সিডিএ বলছে, প্রকল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত এমন দুর্ভোগ সইতে হবে নগরবাসীকে।

শনিবার দুপুরে নগরীর আগ্রাবাড সিডিএ আবাসিক এলাকার চিত্র এটি। আকাশে বৃষ্টির ছিটেফোটাও নেই কিন্তু যতদুর চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। একই চিত্র হালিশহর, ছোট পোল, বড়পোল, চকবাজার, বাকুলিয়াসহ বিস্তৃর্ণ এলাকার। প্রধান সড়কগুলোর অধিকাংশই হালে উচু করা হয়েছে তারপরও সেখানে হাটুপানি, একটু গলির ভেতরে ঢুকলে কোথাও কোমর পানি আবার কোথাও গলা পানির দেখা মেলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, গেল অমাবশ্যার পর থেকে নিয়ম করে জোয়ারের পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছেন তারা

এই চিত্র দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের। জোয়ারের পানিতে সয়লাব বড় এই বাজারের প্রায় অর্ধেক গুদাম। ব্যবসায়ীদের দাবি সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমান শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। চাক্তাই ও রাজাখালী খালের মুখে স্লুইচগেট নির্মান কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বৃষ্টি ছাড়া শুধু জোয়ারের পানিতেই এতবড় ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন তারা।

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সিডিএ বলছে, চলমান প্রকল্পগুলো শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই দুর্ভোগ কমবে না। তবে আগামী বছর থেকে সহনীয় হয়ে আসবে জলাবদ্ধতার অভিশাপ।

বন্দর নগরীর এই জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৭ সালে সিডিএকে ৫ হাজার ৬ শ’ কোটি টাকা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দেয় সরকার। গেল জুন মাসে সিডিএর নেয়া প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও ৪০ শতাংশ কাজ শেষ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরুই করেনি এখনো।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দিনে দু’বার জোয়ারের পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছেন চট্টগ্রামের নিচু এলাকার কয়েক লাখ মানুষ

আপডেট সময় : ০২:১৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২০

গত তিন দিন ধরে দিনে দু’বার জোয়ারের পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছেন চট্টগ্রামের নিচু এলাকার কয়েক লাখ মানুষ। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে শত কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জলাবদ্ধতা নিরসনে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করায় একযুগেরও বেশি সময় ধরে বর্ষাকালে এমন দুর্ভোগের সম্মুখিন হচ্ছেন তারা। আর সিডিএ বলছে, প্রকল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত এমন দুর্ভোগ সইতে হবে নগরবাসীকে।

শনিবার দুপুরে নগরীর আগ্রাবাড সিডিএ আবাসিক এলাকার চিত্র এটি। আকাশে বৃষ্টির ছিটেফোটাও নেই কিন্তু যতদুর চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। একই চিত্র হালিশহর, ছোট পোল, বড়পোল, চকবাজার, বাকুলিয়াসহ বিস্তৃর্ণ এলাকার। প্রধান সড়কগুলোর অধিকাংশই হালে উচু করা হয়েছে তারপরও সেখানে হাটুপানি, একটু গলির ভেতরে ঢুকলে কোথাও কোমর পানি আবার কোথাও গলা পানির দেখা মেলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, গেল অমাবশ্যার পর থেকে নিয়ম করে জোয়ারের পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছেন তারা

এই চিত্র দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের। জোয়ারের পানিতে সয়লাব বড় এই বাজারের প্রায় অর্ধেক গুদাম। ব্যবসায়ীদের দাবি সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমান শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। চাক্তাই ও রাজাখালী খালের মুখে স্লুইচগেট নির্মান কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বৃষ্টি ছাড়া শুধু জোয়ারের পানিতেই এতবড় ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন তারা।

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সিডিএ বলছে, চলমান প্রকল্পগুলো শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই দুর্ভোগ কমবে না। তবে আগামী বছর থেকে সহনীয় হয়ে আসবে জলাবদ্ধতার অভিশাপ।

বন্দর নগরীর এই জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৭ সালে সিডিএকে ৫ হাজার ৬ শ’ কোটি টাকা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দেয় সরকার। গেল জুন মাসে সিডিএর নেয়া প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও ৪০ শতাংশ কাজ শেষ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরুই করেনি এখনো।