জামালপুর পতনের মধ্য দিয়ে ১১ নম্বর সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা সূচনা করেছিল ঢাকা বিজয়ের পথ
- আপডেট সময় : ০১:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ ২০২১
- / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাটি জামালপুর পতনের মধ্য দিয়ে ১১ নম্বর সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা সূচনা করেছিল ঢাকা বিজয়ের পথ। তবে, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযুদ্ধের সেসব স্মৃতিচিহ্ন ও গণকবরগুলো এখনো অরক্ষিত। এগুলো সংস্কার ও রাজাকারদের তালিকা রাস্তার মোড়ে টাঙিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা।
একাত্তরে যুদ্ধের শুরুতেই, বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাড়াও আশপাশের বেশক’টি জেলা ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যে কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বাধীন ১১ নম্বর সেক্টরের হেড কোয়ার্টার স্থাপন করা হয়। ওদিকে, জামালপুর জেলা সদরের পিটিআই ও ধানুয়া কামালপুরে শক্তিশালী ঘাটি স্থাপন করে হানাদার বাহিনী। হানাদার বাহিনীর অসংখ্য নৃশংসতার চিহ্ন আর বধ্যভূমি ছড়িয়ে আছে জেলার বিভিন্ন স্থানে।
পিটিআই হেড কোয়ার্টার, ওয়াপদা রেস্ট হাউস, আশেক মাহমুদ কলেজের ডিগ্রি হোস্টেল টর্চার সেল, ব্রহ্মপুত্র তীরের শ্মশান ঘাট এবং ফৌতি গোরস্থানে ধরে এনে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী বাঙ্গালিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সরিষাবাড়ির বারই পটল এলাকায় একদিনেই হত্যা করা হয় শতাধিক মুক্তিকামী বাঙ্গালিকে। তবে, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন ও গণকবরগুলো অরক্ষিত।
এসব জায়গা দ্রুত সংস্কার ও সংরক্ষনের আশ্বাস দেন সদরের সংসদ সদস্য। স্বাধীনতা যুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের অনেক যুদ্ধই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পেয়েছে।