১২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের ৩৫ শতাংশ কাজও শেষ করতে পারেনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১১:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০
  • / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫ হাজার ৬ শো কোটি টাকার আলোচিত প্রকল্পের মাত্র ৩৫ শতাংশ কাজও শেষ করতে পারেনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএ। খাল পাড়ের কিছু অবৈধ স্থপনা উচ্ছেদ আর কোন কোন এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে খনন কাজের বাইরে তেমন দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই প্রকল্প বরাদ্দের তিন বছরে। বাস্তবায়নের ধীরগতিতে প্রকল্পের সুফল নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর করোনার কাধে দায় চাপিয়ে পার পেতে চাইছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সিডিএ।

২০১৭ সালের আগস্টে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অনুমোদন দেয় একনেক। ৩৬ টি খাল খনন, ৮ টি খালের ওপর স্লুইস গেইটের সাথে হাই প্রেসার পাম্প স্থাপন, নালা নর্দমা পরিস্কার, সবগুলো খালের পাশে রিটেইনিং ওয়াল নির্মানসহ মেগা এই প্রকল্পের জন্য ৫ হাজার ৬ শো কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যায় নির্ধারণ করে ২০২০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় বেধে দেয় সরকার।

নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে আরো ২৩ দিন আগে। এখনো কোন কাজই সম্পন্ন হয়নি প্রকল্পের। এতে ক্ষোভ জানিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গবেষকরা। বড় এই প্রকল্পটি দেখভালের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটিও হয়েছিলো শুরুতে। কিন্তু ওই কমিটির সদস্যদেরও অন্ধকারে রেখেই এগিয়ে চলেছে প্রকল্পের কাজ। তিন বছরে মাত্র একটি সভায় ডাকা হয়েছে তাদের।

তবে সিডিএ’র দাবি, করোনার প্রকোপ না হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অনেক দুর এগোতো প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। তারপরও যতটুকু হয়েছে তাতেই সুফল এসেছে এই বর্ষায়।

সিডিএর পাশাপাশি একই নামে আড়াই হাজার কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প পেয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যদিও প্রকল্প অনুমোদনের দুই বছরেও কাজ শুরু করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হলে সবগুলো প্রকল্পের বাস্তবায়ন হতে হবে একসঙ্গে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের ৩৫ শতাংশ কাজও শেষ করতে পারেনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ

আপডেট সময় : ০২:১১:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫ হাজার ৬ শো কোটি টাকার আলোচিত প্রকল্পের মাত্র ৩৫ শতাংশ কাজও শেষ করতে পারেনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএ। খাল পাড়ের কিছু অবৈধ স্থপনা উচ্ছেদ আর কোন কোন এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে খনন কাজের বাইরে তেমন দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই প্রকল্প বরাদ্দের তিন বছরে। বাস্তবায়নের ধীরগতিতে প্রকল্পের সুফল নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর করোনার কাধে দায় চাপিয়ে পার পেতে চাইছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সিডিএ।

২০১৭ সালের আগস্টে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অনুমোদন দেয় একনেক। ৩৬ টি খাল খনন, ৮ টি খালের ওপর স্লুইস গেইটের সাথে হাই প্রেসার পাম্প স্থাপন, নালা নর্দমা পরিস্কার, সবগুলো খালের পাশে রিটেইনিং ওয়াল নির্মানসহ মেগা এই প্রকল্পের জন্য ৫ হাজার ৬ শো কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যায় নির্ধারণ করে ২০২০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় বেধে দেয় সরকার।

নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে আরো ২৩ দিন আগে। এখনো কোন কাজই সম্পন্ন হয়নি প্রকল্পের। এতে ক্ষোভ জানিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গবেষকরা। বড় এই প্রকল্পটি দেখভালের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটিও হয়েছিলো শুরুতে। কিন্তু ওই কমিটির সদস্যদেরও অন্ধকারে রেখেই এগিয়ে চলেছে প্রকল্পের কাজ। তিন বছরে মাত্র একটি সভায় ডাকা হয়েছে তাদের।

তবে সিডিএ’র দাবি, করোনার প্রকোপ না হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অনেক দুর এগোতো প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। তারপরও যতটুকু হয়েছে তাতেই সুফল এসেছে এই বর্ষায়।

সিডিএর পাশাপাশি একই নামে আড়াই হাজার কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প পেয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যদিও প্রকল্প অনুমোদনের দুই বছরেও কাজ শুরু করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হলে সবগুলো প্রকল্পের বাস্তবায়ন হতে হবে একসঙ্গে।