জরুরী সেবার পাশাপাশি এবার খুলছে ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় অফিস
- আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫২৩ বার পড়া হয়েছে
পাঁচ দফায় সাধারণ ছুটি বাড়ানো হলেও জরুরী সেবার পাশাপাশি এবার খুলছে ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় অফিস। সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানাও খোলা রাখা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়। প্রজ্ঞাপনের আলোকে সচল থাকবে ডাক সেবা এবং সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীসহ সড়ক ও নৌপথে পণ্য পরিবহনের নিয়োজিত যানবাহন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপনে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।
করোনা ভাইরাসের কারণে প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল, এরপর ছুটি বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল, তৃতীয় দফায় ১৪ এপ্রিল এবং চতুর্থ দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এবার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পঞ্চম দফায় তা বাড়ানো হলো ৫ মে পর্যন্ত। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এসব প্রজ্ঞাপনে শুরু থেকেই জরুরি পন্য ও সেবা সার্ভিসকে ছুটির বাইরে রাখা হলেও এবার আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপনে যোগ হলো বেশকিছু নতুন সিদ্ধান্ত।
এবারের ঘোষণায়, জরুরি সেবার পাশাপাশি সীমিত পর্যায়ে ঢাকাসহ সব বিভাগ এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খোলা থাকবে। এই অফিসগুলো হলো, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এছাড়া ওষুধ শিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিসহ সব কলকারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু রাখতে পারবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জরুরি সেবা যেমন : বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেটে পাশাপাশি ডাক সেবা এবং সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা আগের মতোই সাধারণ ছুটির বাইরে থাকবে। তাছাড়া সড়ক ও নৌপথে সব ধরনের পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক, লরি, কার্গো চলাচল অব্যাহত থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে সাধারণ ছুটিকালীন অন্যসব সরকারি অফিসের কর্মকর্তারা এই সময়ে আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন বলেও উল্লেখ করা হয়।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো ও গণপরিবহন পর্যায়ে উন্মুক্ত করা হবে বলেও জানানো হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে।