চট্রগ্রামে ৮ বছরেও শুরু হয়নি বারইপাড়া থেকে কর্ণফূলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খননের কাজ
- আপডেট সময় : ০৫:০৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫১৩ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে প্রকল্প পাশের ৮ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি বারইপাড়া থেকে কর্ণফূলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খননের কাজ। তবে বছর বছর সংশোধন করে ২৮৯ কোটি টাকার প্রকল্পটির বর্তমান ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ১ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৯১৪ কোটি টাকা বুঝেও পেয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। তবুও প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি আজো। সিটি মেয়রের দাবি- জমি অধিগ্রহণের জটিলতার কারণেই বাধাগ্রস্ত হয়েছে নতুন খাল খননের কাজ। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, অনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতেই ইচ্ছাকৃতভাবে সময় ক্ষেপণ করেছে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান। এতে রাষ্ট্রের হাজার কোটি টাকা অপচয়ের পাশাপাশি চট্টগ্রামবাসীর জলাবদ্ধতার অভিশাপ দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
চট্টগ্রামের সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বহদ্দারহাট এলাকার বাড়ির দৃশ্য এটি। বৃষ্টি ছাড়াও অমাবস্যা-পুর্ণিমার জোয়ারে পানিবন্দী হয়ে পড়েন মেয়র নিজেই। বহদ্দারহাট ছাড়াও বাকুলিয়া, বলিরহাট, ষোলশহর, শুলোকবহর, চান্দগাঁওসহ অন্তত ১০টি এলাকার মানুষকে জলাবদ্ধতার এই অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে ২০১৪ সালে বারইপাড়া থেকে চাক্তাই খালের মাথা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন খাল খননের উদ্যোগ নেয় সিটি কর্পোরেশন।
গেল বছরের শুরুতে নিজ-মেয়াদ শেষ হবার আগ মুহূর্তে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পাশাপাশি নিজেই এক্সেভেটর চালিয়ে খনন কাজের উদ্বোধন করেন তৎকালীন মেয়র আ.জ.ম নাছির। কিন্তু এরপর দু’বছরে আর এক কোদাল মাটিও কাটেনি কেউ। তাই জলাবদ্ধতার কবল থেকেও মুক্ত হতে পারেনি বিস্তীর্ণ এলাকাটি।
শুরুতে ২৮৯ কোটি টাকার প্রকল্পটির বর্তমান ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ১৩শ’ ৭৪ কোটি টাকা। যার দুই-তৃতীয়াংশই সরকারের কাছ থেকে বুঝে পেয়েছে চসিক। মেয়রের দাবি- পুরো টাকাই ব্যয় হয়ে গেছে ভূমি অধিগ্রহণে। এখন বাকি টাকা পেলেই শুরু করবেন খনন কাজ।
আর বিশ্লেষকরা বলছেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতাকে পুঁজি করে প্রকল্প বাণিজ্য করছে উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলো। বারইপাড়া খালও তারই অংশ। শুধুমাত্র সততা আর জবাবদিহিতার অভাবেই জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে গাফিলতি করছে সিটি কর্পোরেশন।
নতুন এই খালটি খননে ২৫ একর ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন পড়ে। ২০১৪ সালে নিয়মানুযায়ী মৌজা রেটের দেড়গুণ হিসেবে জমির দাম ধরা হয়েছিলো ২২৪ কোটি টাকা। নিয়ম বদলে এরই মাঝে ভূমি অধিগ্রহণে দেড়গুণের ক্ষতিপূরণ করা হয়েছে তিনগুণ। এছাড়া অন্যান্য খাতেও ব্যয় বেড়েছে দু’ থেকে তিনগুণ।