চট্টগ্রাম বন্দরে আটাশ বছর ধরে পড়ে আছে বিপজ্জনক তেজস্ক্রিয় পদার্থ
- আপডেট সময় : ০৩:১৩:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
২৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন শেডে পড়ে আছে বিপজ্জনক সব তেজস্ক্রিয় পণ্য। বন্ধও স্থাপনা এমনকি গোটা দেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হলেও আইনগত জটিলতায় ধ্বংস করা সম্ভব হচ্ছে না রাসায়নিক ও দাহ্য এসব পদার্থ। লেবাননের বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর এখন দুর্ঘটনা এড়াতে তৎপর হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। যদিও উদ্যোগ গ্রহণের ১৫ দিনেও এগোয়নি কিছু।
চট্টগ্রাম বন্দরের ১৪টি শেডের মধ্যে ঝুঁকিপুর্ণ পণ্যগুলো রাখা হয় জরাজীর্ণ এই ‘পি-শেডে’। বন্দর কর্তৃপক্ষের হিসেবে, ১৩ টি ড্রাম আর ৫৫ ‘প্যালেট’ রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থ রয়েছে এখানে। বিভিন্ন সময় আমদানী করা এসব পণ্যের প্রথম চালানটি এসেছিলো ১৯৯২ সালে। আইনগত জটিলতা আর কাস্টমসের অবহেলায় ২৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে অনেকটা অরক্ষিত অবস্থায়ই পড়ে আছে বিপজ্জনক এসব পণ্য। ফুটেজ-১
লেবাননের বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর ঝুকিপুর্ণ এ সব পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ নেয় বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। যদিও গেল ১৫ দিনে সে উদ্যোগ এগোয়নি তেমন।
গত ১৫ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরের ৩ নম্বর শেডে অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া ২০১৫ সালেও রাসায়নিক পণ্য খালাসের সময় বিস্ফোরণের নজিরও রয়েছে চট্টগ্রামে। বৈরুত ট্রাজেডির পর বিষয়টি ফের সামনে এসেছে। ঝুঁকি এড়াতে বিপজ্জনক পণ্যের নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার দাবি বন্দর ব্যবহারকারিদের।
আর কাস্টমস বলছে, বন্দরের বিভিন্ন গুদামে রক্ষিত ঝুঁকিপুর্ণ পণ্য চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। আইনগত জটিলতা নিরসন করে শিগগিরি এসব পণ্য ধ্বংস করা হবে। জিবি-কাস্টমস
বিভিন্ন শেডে রক্ষিত খোলা পণ্যের বাইরে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পণ্য বোঝাই প্রায় ৭ হাজার নিলামযোগ্য কন্টেইনার পড়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে। আইনগত জটিলতা, আমদানিকারকদের উদাসিনতা আর কাস্টমসের গাফিলতিতে এ সব পণ্যের গন্তব্য নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।