নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ার আশংকা পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণকাজ
- আপডেট সময় : ০২:১৭:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১
- / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় প্রকল্প পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও নির্ধারিত সময়ে তা বাস্তবায়ন না হওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। শেষ মুহুর্তে এসে ডিপিপি সংশোধন ও ফাণ্ড জটিলতার কারণে এই আশংকা তৈরী হয়েছে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে সীমিত পরিসরে হলেও নির্ধারিত সময়ে পিসিটিকে অপারেশনে আনতে চায় তারা। আর বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, উর্দ্ধমুখী আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যের চাপ সামলাতে পিসিটির বিকল্প নেই।
খাতা কলমে বছরে ২৬ লাখ টিউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করার সক্ষমতা আছে চট্টগ্রাম বন্দরের। কিন্তু গেল বছর কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩১ লাখ টিউসের কাছাকাছি। তবে চাহিদা রয়েছে আরো বেশি। কিন্তু এই অবকাঠামোয় এর বেশি সক্ষমতা দেখানোর সুযোগ নেই। এই বাস্তবতায় বন্দরকে সম্প্রসারণ করতে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল বা পিসিটি নির্মানের উদ্যোগ নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
২০১৭ সালের জুলাইতে শুরু হওয়া এক হাজার ৮ শত ৬৮ কোটি টাকা ব্যায়ে এই প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিলো এবছরের ডিসেম্বরে। ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও বাকিটা হচ্ছে না এবছর।
নতুন এই কন্টেইনার টার্মিনালে তিনটি কন্টেইনার জেটি, একটি ডলফিন জেটিসহ বেশকিছু অবকাঠামোর সাথে অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশ যুক্ত হওয়ার কথা ছিলো বন্দরের বহরে। যা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে কমপক্ষে সাড়ে ৪ লাখ টিউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা বাড়তো চট্টগ্রাম বন্দরের।
আর বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ জটের সমস্যা দীর্ঘদিনের। যার নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারেও। তাই যত দ্রুত সম্ভব পিসিটি’র মতো প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মনযোগী হওয়া উচিত সরকারের।
প্রকল্প শুরুর পর মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছাড়াও বিমান বাহিনী, কাস্টমস, মেরীণ ফিসারিজসহ বেশ কয়েকটি সরকারী বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করতে গিয়েও দীর্ঘসুত্রিতার কবলে পড়ে গুরুত্বপুর্ণ এই প্রকল্পটি।