চট্টগ্রাম নগর ও উত্তরের কয়েকটি উপজেলায় বেড়েছে খুনোখুনি
- আপডেট সময় : ০৪:১৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম নগর ও উত্তরের কয়েকটি উপজেলায় সম্প্রতি বেড়েছে খুনোখুনি । রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে বিরোধ, আত্মগোপনে থাকা সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্যে আসার পাশাপাশি পারিবারিক কিংবা মাদকের কারণেও একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের মনে নানা শঙ্কা জাগাচ্ছে।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত শুধু চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ- সিএমপিতে খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে ৬১টি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি এপ্রিলে ১১টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া নগরীর বাইরে বিভিন্ন উপজেলায়ও বেড়েছে খুনের ঘটনা। সর্বশেষ ১৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর বাইরে রাঙ্গুনিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে খুন হন শ্রমিকদল নেতা আবদুল মান্নান। একইদিন নগরীতে ছুরিকাঘাতে খুন হন আকাশ ঘোষ। এর আগে ৭ নভেম্বর হালিশহরে নিজ ঘরের সামনে ছুরিকাঘাতে মারা যান মো. আকবর। আর গত ৫ নভেম্বর বায়েজিদ এলাকায় চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগে সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে মারা যান শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার বাবলা।
চলতি বছর চট্টগ্রামে ঘটে যাওয়া এমন খুনোখুনির ঘটনার অধিকাংশই রাজনৈতিক। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পারিবারিক বিরোধ, মাদক নিয়ে সংঘাত; এমনকি কথা কাটাকাটির জেরেও খুনের ঘটনা ঘটছে।
পুলিশ বলছে, বেশিরভাগ খুনের ঘটনাতেই তারা আসামি গ্রেপ্তার করেছে। তবে পুরনো সন্ত্রাসীরা ভোল পাল্টে নতুন পক্ষে যোগ দেওয়ার কারণেও খুনোখুনি বেড়েছে বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আবার কিছু হত্যাকান্ডের তদন্ত করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পেয়েছে ব্যক্তিগত বিরোধ, পূর্ব শত্রুতা ও আকস্মিক আক্রোশের বশে বিভিন্ন ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় যারা অপরাধ করছে তাদের ক্রিমিনাল হিস্ট্রিও তেমন নাই।
তবে অপরাধ কমানোর জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত টহল জোরদার করার সাথে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা দরকার বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।






















