চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন করে বসতি গড়ে উঠেছে পাহাড়ের পাদদেশে
- আপডেট সময় : ০১:৩৭:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০২০
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
বর্ষা মৌসুম শুরু হলেও চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন করে বসতি গড়ে উঠেছে পাহাড়ের পাদদেশে। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কেটে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। রাতের আধারে প্রভাবশালী মহল পাহাড় দখল করে এ সব বসতি স্থাপন করেছে। গেল তিন মাসে অন্তত ১২ টি পাহাড় কেটে সাবাড় করে দিয়েছে পাহাড়খেকোরা। নতুন করে দখলের শিকার হয়েছে অন্তত ৫০ টি পাহাড়। পরিবেশ কর্মীদের দাবি,প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্লিপ্ততার কারণেই এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতির তৈরী হয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার বললেন, প্রশাসনের চেয়ে পাহাড়গুলোর মালিকদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি।
মাত্র ৬ কিলোমিটার লম্বা ফৌজদারহাট-বায়েজিদ সড়ক নির্মাণ করতে ১৮ টি পাহাড় ধ্বংস করার অভিযোগ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএ’র বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। ৯০ ডিগ্রি এ্যংগেল করে সিডিএ’র কেটে রাখা পাহাড় এখন বিভিন্ন কোম্পানির নামে সমান করতে ব্যস্ত ভূমিদস্যুরা। এসব পাহাড়ে এরই ছোট-বড় বিভিন্ন স্থাপনাও গড়ে তোলা হয়েছে ।
বায়েজিদ ছাড়াও আরফিনগর, জঙ্গল ছলিমপুর, মতিঝর্ণা, বাটালিহিল, টাংকির পাহাড়, আকবরশাহসহ নগরীর অন্তত ৩০টি পাহাড়ে নজর পড়েছে ভূমিদস্যুদের । করোনার কারণে প্রশাসনের নজরদারি কমায় সুযোগ নিয়েছে পাহাড় খেকোরা। এতে ক্ষুব্ধ পরিবেশ কর্মীরা।
পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের দাবি, ব্যক্তি মালিকানার পাহাড় ছাড়াও সরকারি পাহাড়গুলো কোন না কোন প্রতিষ্ঠান দায়িত্বে রয়েছে। তাই এসব পাহাড় রক্ষণাবেক্ষণে ত্রুটি থাকলে প্রশাসনের পাশাপাশি ওই পাহাড়ের মালিকের ওপরও দায় বর্তায়।
আর সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন বলছে, করোনার সময়ে পাহাড় কাটার দায় এড়াতে পারেনা দায়িত্বপ্রাপ্তরা। প্রতি বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধ্বসে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে চট্টগ্রামে। এই ধ্বসের জন্য ২০০৭ সালে অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কাটা ও পাহাড়ের পাদদেশে বসতি গড়ে তোলাসহ ২৮ টি কারণ চিহ্নিত করে ৩৬ দফা সুপারিশ করেছিলো পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি। কিন্তু ১৩ বছরেও সে সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়নি। ফুটেজ-৩