ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
- আপডেট সময় : ০৭:৫৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১
- / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
ঘূর্নিঝড় ‘ইয়াস’-এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারের লবনাক্ত পানি ঢুকে পড়েছে আবাদি জমিতে। অনেকের পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। ক্ষতি হয়েছে বাঁধ, রাস্তা, ব্রীজ-কালভার্ট, ধানক্ষেত ও পান বরজের। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা নিরুপণ করছে কৃষি বিভাগ।
জোয়ারের পানিতে বরিশালের ৪ উপজেলায় বাঁধ, রাস্তা, ব্রীজ-কালভার্ট, মাছের ঘের, ধান ও পান বরজের ক্ষতি হয়েছে। জেলার অন্য ৬ উপজেলায় পানি বাড়লেও উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
খুলনায় জলোচ্ছ্বাসে ঘেরের কয়েক কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। জেলা মৎস্য বিভাগের মতে, দাকোপ-কয়রা-পাইকগাছা-ডুমুরিয়া-বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৭ হাজার ৯৪টি মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে চাষিদের ৪৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ-শাকবাড়িয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে অন্তত ৪০ গ্রাম।
ঝালকাঠিতে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। নেমে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চলের পানি। এই জেলায় প্রায় ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ। ভেসে গেছে দু’হাজার ১৩৯টি পুকুর, দিঘী ও খামারের মাছ। জেলা মৎস বিভাগ জানিয়েছে, ১’শ ৩৫ মেট্রিক টন মাছ এবং ৩১ লাখ ৫৩ হাজার পোনা ভেসে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি টাকা।
লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ভোলার উপকূল। ঝড়ে মারা গেছে দু’জন। ঘরবাড়ি, মাছের ঘের, দোকানপাট আর গবাদি পশু হারিয়ে অনেকেই দিশেহারা।পানিবন্দি হয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে তারা। জেলায় সাড়ে ৪ হাজার কাঁচা-পাকা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ১২’শ গবাদি পশু।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনির ১০টি ইউনিয়নে মাছের ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপকূল রক্ষা বাঁধ ভেঙে এবং জোয়ারের পানি উপচে ভেসে গেছে সাড়ে ৪ হাজার ঘের। এতে সর্বস্বান্ত হয়েছেন চাষিরা।পানিবন্দি রয়েছেন ১৫-২০ গ্রামের মানুষ।
উচ্চ জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ পটুয়াখালীর প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য আড়াই লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।